সপ্তম দিনেও দাবি আর পালটা দাবির মধ্যে পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গোটা বিশ্ব দেখছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইউক্রেনের বুকে। রাশিয়ার সাঁজোয়া গাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছে। বাকি যুদ্ধ ঠিক কখন, কোথায় হচ্ছে, তার হদিশ অবশ্য জানে না বিশ্ববাসী। তার মধ্যেই লাগাতার চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রশাসনের দাবি এবং পালটা দাবি।
বুধবারই রাশিয়া দাবি করেছে, খেরসন এলাকার দখল তারা নিয়েছে। পালটা, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, মাত্র ৬ দিনে ৬ হাজার হামলাকারী রুশ সেনাকে তাঁরা হত্যা করেছেন। যা শুনলে মনে হবে, ইউক্রেনের লড়াই বারুদের মতোই এখন স্নায়ুযুদ্ধের ওপরও টিকে আছে।
ইতিমধ্যে খারকিভেও বিমান থেকে নেমেছে রুশ সেনার বিশেষ বাহিনী। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। এই ক'দিন আগে খারকিভ দখলের দাবি করেছিল রাশিয়া। তার কয়েক ঘণ্টা পরে খারকিভের মেয়র দাবি করেছিলেন, শহরকে রাশিয়ার হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র।
রাশিয়ার যাবতীয় হামলার মূল কেন্দ্র এখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। সেখান থেকে সব ভারতীয়কে সরানো হয়েছে। আর কোনও ভারতীয় কিয়েভে আটকে নেই বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। ইতিমধ্যে ইউক্রেনে আটকে থাকা প্রায় হাজারখানেক ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হয়েছে। আরও অনেকে পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলেও দাবি পোল্যান্ড সরকারের।
আরও পড়ুন- অন্তত ২ হাজার ভারতীয় পোল্যান্ডে ঢুকেছেন, জানালেন সে দেশের রাষ্ট্রদূত
তারপরও এখনও সকলের খোঁজ নেই। রুশ হামলায় এক ভারতীয় ছাত্রও ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই রাশিয়া, ইউক্রেন, রোমানিয়া, স্লোভাক রিপাবলিক এবং পোল্যান্ড সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, এখনও ইউক্রেনে আটকে আছেন ৪০ শতাংশ ভারতীয়।
সব মিলিয়ে ২০ হাজার ভারতীয় ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর সময় ছিলেন। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই দেশে ফেরানো হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ ভারতীয় বর্তমানে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোয় দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন।
Read story in English