Advertisment

নিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে ভারত, নয়াদিল্লির পথে মার্কিন আধিকারিকরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। রাশিয়ার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও সেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Beginning of Russian invasion, says US Secretary of State Blinken

ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো। তাদের পাশে দাঁড়াক ভারতও। সেই দাবি নিয়ে এবার ভারতের পথে রওনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ জো বাইডেনের দফতরের এক আধিকারিক। তিনি ভারতের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক এবং শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলতে চান। যাতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ভারতীয় শিল্পপতিদের কাছে বার্তা পৌঁছয়। যাতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা বুঝতে পারেন। তা নিশ্চিত করা ওই মার্কিন আধিকারিকের উদ্দেশ্য। এই ব্যাপারে মার্কিন রাজস্ব বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন ওই আধিকারিক হলেন এলিজাবেথ রোজেনবার্গ। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অপরাধ এবং আর্থিক সাহায্য বিভাগের সহকারি সচিব।

Advertisment

গত ৩১ মার্চ, এক মার্কিন আধিকারিক রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য ভারতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারত। এতে ভারতেরই ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। রাশিয়ার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও সেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে। এতে শুধু রাশিয়াই নয়, তাদের বন্ধু দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু, ভারত যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গোষ্ঠীতে রয়েছে, তাই ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হোক, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় না। আর, সেই কারণেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য বাইডেন প্রশাসন বারবার ভারতকে বলছে।

আরও পড়ুন- টেক্সাসের স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ১৯ শিশু-সহ ২১ জন

তারই অঙ্গ হিসেবে এলিজাবেথ রোজেনবার্গের এই ভারত সফর বলে মার্কিন রাজস্ব বিভাগ জানিয়েছে। মার্কিন রাজস্ব বিভাগের মুখপাত্র আরও বলেন, 'শুধু ভারতই নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়েই তাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। বিশেষ করে সেই সহযোগীদের সঙ্গে, যাঁদের নিয়ে জঙ্গিদমন এবং এই জাতীয় বিভিন্ন কার্যকলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে চলেছে। শুধু তাই নয়, আগামী দিনেও ওয়াশিংটন ওই সব দেশগুলোর থেকে সহযোগিতা আশা করে। সেই কারণেই সহযোগীদের সঙ্গে আরও আলোচনা এবং বৈঠক জরুরি।'

Read full story in English

USA russia Oil import India
Advertisment