বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে। মহামারী নিয়ে তার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা উল্লেখ করেছে গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৬ লক্ষ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৫ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আলফা, বিটা এবং ডেল্টা সহ অন্যান্য সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ওমিক্রন করোনা বিস্তারের জন্য দায়ী জানিয়েছে WHO।
এদিকে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতেই নিউ নর্মালের পথে হেঁটেছে সারা বিশ্বের একাধিক দেশ। স্বাভাবিকের পথে হাটতে শুরু করেছে করোনা বিধ্বস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ সংক্রমণ সেদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে এবার দেশ আগামীর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
অর্থাৎ নিউ নর্মালের পথে হাঁটছে দেশ। সিডিসি তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমেছে ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুহার কমেছে ৯ শতাংশ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে জনজীবন। একাধিক সংস্থা মাস্কের ব্যবহার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। টাইসন ফুডস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বুস্টার ডোজ নেওয়া কর্মীদের আর মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নেই।
আরো পড়ুন: সংক্রমণ কমলেও এখনই মাস্ক বর্জন নয়, মত বিশেষজ্ঞদের
Walmart এবং Amazon ও মাস্কের কড়াকড়ির ওপর জারী করেছে নিষেধাজ্ঞা। মাইক্রোসফ্ট এবং ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি সংস্থাগুলিও শেষ করতে চলেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মেয়াদ। ফেসবুক এই মর্মে এক নির্দেশ জারী করেছে যেখানে বলা হয়েছে বুস্টার ডোজের প্রমাণ সহ আগামী ২৮ শে মার্চ থেকে তাদের সকল কর্মীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক।
তবে এর বিপরীতেও একাধিক অফিস এখনও মাস্ক পড়ার ওপর কড়াকড়ি জারী রেখেছে। এমনকি অনেক সংস্থা এখনও আরও কিছুদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালিয়ে যাওয়ার পথে হেঁটেছে। দক্ষিণ কোরিয়া আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল এবং বৃদ্ধাশ্রম থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সরবরাহ করবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আরো পড়ুন: ওমিক্রনের নয়া উপপ্রজাতি শরীরে গুরুতর প্রভাব সৃষ্টির জন্য দায়ী:গবেষণা
গত মঙ্গলবার সেদেশে প্রায় ৩৩ হাজার মারণ ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন। যা জানুয়ারির থেকেও ২০ গুন বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মার্চে সংক্রমণ প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। যদিও ওমিক্রনের প্রভাবে সেভাবে গুরুতর অসুস্থতার খবর সামনে না আসলেও আক্রান্তের সংখ্যা রীতিমত ভয় ধরাতে শুরু করেছে সেদেশে। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্য ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের জন্য খুব দ্রুত টিকা চালু করতে চলেছে।
বুধবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর এক বুলেটিনে জানিয়েছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী প্রায় ৬ লক্ষ শিশুদের জন্য ‘লো ডোজ নন আর্জেন্ট’ ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ বলেন, "অভিভাবকরা চাইলে, তাঁদের সন্তানদের টিকার আওতায় আনতে পারেন। যদিও বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ অনেক কম। তাদের ক্ষেত্রে টিকা জরুরি নয়।