মাঝ আকাশে কোভিড পজিটিভ! নিজেকে বিমানের টয়লেটে পাঁচ ঘণ্টা আইসোলেট করে রাখলেন মার্কিন মহিলা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শিকাগো থেকে আইসল্যান্ড যাওয়ার পথে ওই মহিলা মাঝ আকাশে জানতে পারেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। তখন নিজেকে গোটা যাত্রাপথ নিজেকে টয়লেটে বন্ধ করে রাখেন ওই মহিলা।
মিশিগানের শিক্ষিকা মারিসা ফোটিও বিমানে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। তাঁর গলায় ব্যথা করছিলয গত ১৯ ডিসেম্বর তাঁর বিমান যাত্রা ছিল। গলা ব্যথা করার পর তিনি বিমানের টয়লেটে গিয়ে ব়্যাপিড কোভিড টেস্ট করেন। তখনই তিনি জানতে পারেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। এমনটাই খবর WABC-TV সূত্রে।
সিএনএন-কে ওই মহিলা জানিয়েছেন, বিমান ধরার আগে তিনি দুটি আরটি-পিসিআর টেস্ট করেন এবং পাঁচবার ব়্যাপিড টেস্ট করেন। প্রত্যেকবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বিমানে ওঠার আগে থেকে তাঁর গলায় ব্যথা করছিল। আধ ঘণ্টা পর তিনি টয়লেটে গিয়ে টেস্ট করেন। তারপরই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
বিমানে মাথা ঘুরতে শুরু করে তাঁর। এর পর তিনি ঠিক করেন, একটা টেস্ট করে দেখা যাক। তাতে হয়তো শরীর ভাল হতে পারে। কিন্তু টেস্ট করতেই দেখি, রিপোর্ট পজিটিভ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সবকটি ডোজই নেওয়া গেছে মারিসার। তবে যেহেতু তাঁর সহকর্মীদের অনেকেই সবকটি ডোজ নেননি তাই বার বার টেস্ট করেন তিনি। যখন টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে, সেইসময় আতলান্তিক মহাসাগরের উপরে বিমান, তাতে আরও ঘাবড়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন হ্যাপি নিউ ইয়ার! ওমিক্রনের মধ্যেই ২০২২-কে স্বাগত জানাল নিউজিল্যান্ড
ভয়ে কাঁপতে থাকেন তিনি। কাঁদতে শুরু করেন তিনি। রকি নামে এক বিমান সেবকের কাছে তিনি যান। নিজের পরিবার, পরিজন, যাঁদের সঙ্গে বিমান ধরার আগে তিনি খাবার খেয়েছিলেন তাঁদের জন্য ভয় করতে শুরু করে তাঁর। তিনি বলেছেন, বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদের জন্যও ভয় করতে শুরু করে আমার। নিজের জন্যও নার্ভাস হয়ে পড়ি।
বিমান সেবক তাঁকে শান্ত করেন সেইসময়। তিনি মারিসাকে বলেন, কোনও ফাঁকা আসনে বসার জন্য। কিন্তু বিমান পুরো ভর্তি ছিল। তখন যাত্রার বাকি সময়টা বিমানের টয়লেটে থাকার কথাই ঠিক করেন মারিসা। টয়লেটের দরজার বাইরে আউট অফ সার্ভিস লেখা কাগজ সাঁটিয়ে দেন তিনি। বাকি সময়টা টয়লেটে কমোডের উপর বসেই কাটিয়ে দেন মারিসা।