দুই দশক পর আফগানিস্তানে ফের কায়েম তালিবানি রাজ। তালিবানদের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে আপগানরা। উজবেকিস্তান, ইরান ও তাজিকিস্তানে সীমান্তে আফগানরা ভিড় করেছেন। বেশিরভাই পুরুষ রয়েছেন এই পালানোর দলে। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ মহিলারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কাবুলের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মহিলাদের ছোট একটি দল। প্ল্যাকার্ড হাতে সমানাধিকারের দাবিতে সোচ্চার তাঁরা। বোরখা পরিহিত মহিলাদের পরিচয় জানা না গেলেও তাঁদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটদুনিয়া।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চারজন মহিলা বোরখা পরে দাঁড়িয়ে, মাথা হিজাবে ঢাকা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তালিবান যোদ্ধাদের উদ্দেশে স্লোগান দিচ্ছেন। আল-জাজিরার সংবাদদাতার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আরও কয়েকজন মহিলা রাস্তা দিয়ে মিছিল করছেন, স্লোগান দিচ্ছেন। কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে কথাও বলে। কিন্তু মিছিলে বাধা দেননি তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, তালিবান দখল নেওয়ার পর কাবুলে এটাই সম্ভবত প্রথম প্রতিবাদ মহিলাদের। তাও আবার প্রকাশ্যে।
যদিও তালিবান মুখপাত্র মহিলাদের অধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছেন। ভীত-সন্ত্রস্ত কাবুল এবং গোটা দেশে ভয়ের বাতাবরণের জেরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই নরম পন্থা নিয়েছে তালিবানরা। তালিবান সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য এনামুল্লাহ সামানগানি তালিবান সরকারের তরফে বলেছেন, মহিলারা সরকারে স্বাগত, কিন্তু শরিয়ত আইন মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন বিমানের চাকায় মিলল মানুষের দেহাংশ, কাবুলের ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি আফগানদের
দুই দশক আগের স্মৃতি যাঁদের টাটকা, তাঁদের আশঙ্কা দেশে ফের অন্ধকার মৌলতান্ত্রিক ইসলামি জমানা ফিরবে। যেখানে অপরাধের সাজা পাথর নিক্ষেপ, প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, লিঙ্গচ্ছেদ। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর মার্কিন বাহিনী তালিবানদের শায়েস্তা করে আসে আফগানিস্তানে। তারপর ধীরে ধীরে তালিবানমুক্ত হন নাগরিকরা। কিন্তু সেই পথে আর হাঁটার কথা বলছে না তালিবানরা। সামানগানি বলেছেন, ইসলামিক আমিরশাহী মহিলাদের আক্রান্ত করতে চায় না। তবে শরিয়ত আইন অনুযায়ী, তাঁরা সরকার গঠনে সাহায্য করতে পারেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন