করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের একাধিক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলিতে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলির প্রতি এই আচরণ সমর্থন করে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। সংক্রণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে হলে তা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে WHO। দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলির প্রতি অন্য একাধিক দেশের আক্রমণাত্মক এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ আদতে ওই দেশগুলির সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রেই বাধার সৃষ্টি করবে বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা, বাৎসোয়ানায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন'-এর হদিশ মিলেছে। ভাইরাসের নতুন এই প্রজাতি অত্যন্ত শক্তিশালী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতোই এটা বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। 'ওমিক্রন' নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ শুধুমাত্র আতঙ্কের বশবর্তী হয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। সেদেশে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলির প্রতি অন্যদের এই আচরণ সমর্থন করে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-র আফ্রিকার আঞ্চলিক অধিকর্তা মাতসিদিসো মোয়েতি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলিকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন,“ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা করোনার বিস্তারকে কমাতে কিছুটা ভূমিকা নিতে পারে। তবে এটি জীবন এবং জীবিকার উপর একটি ভারী বোঝা চাপিয়ে দেয়। যদি বিধি-নিষেধ আরোপ করতেই হয় তবে তা কখনই অপ্রয়োজনীয়ভাবে আক্রমণাত্মক হস্তক্ষেপ হওয়া উচিত নয়। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী বৈজ্ঞানিকভাবে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে হবে।”
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন না নিলে মিলবে না মদ, নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
একইসঙ্গে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' সম্পর্কে বিশ্বকে সজাগ করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের অধিকর্তা মোয়েতি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাৎসোয়ানা সরকারের স্বচ্ছতা প্রশংসনীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকান দেশগুলির পাশে আছে। যাঁরা সাহসের সঙ্গে জীবন রক্ষাকারী জনস্বাস্থ্যের তথ্য সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। বিশ্বকে COVID-19-এর বিস্তারের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্য করেছেন।”
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন