চিনা আধিকারিকদের ভিসা নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, জাতীয় স্মৃতিসৌধ বা কোনও মূর্তির ক্ষতি করলে সাজা হিসেবে ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাস ভোগ করতে হবে। এমন নির্দেশনামায় সিলমোহর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্য়দিকে, চাদরে মোড়া ৩০টি লাশের স্তুপ জমল মেক্সিকোর রাস্তায়, যা ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন বিস্তারিত...
চিনা আধিকারিকদের ভিসা নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাস প্রেক্ষাপটে দুই দেশের বিরোধ উঠেছে চরমে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়েছে চিনা বিমান চলাচল। আর এবার চিনা আধিকারিকদের ভিসা নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সচিব মাইক পম্পেও। তিনি জানান যে হংকং-এর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চিনা আধিকারিকদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করল ওয়াশিংটন।
চিনের সংসদে তিনদিনের একটি বৈঠকের পর রবিবার স্থির হয় হংকং-এ একটি জাতীয় সুরক্ষার নয়া আইন কার্যকর করা হবে। এই সিদ্ধান্তই বর্তমানে ভাবিয়ে তুলছে বিশ্বের রাজনৈতিক মহল এবং গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করা কর্মীদের। শুক্রবার নাম না করেই মাইক পম্পেও বলেন "বর্তমান এবং প্রাক্তন" চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আধিকারিকরা যারা "হংকংয়ের উচ্চতর স্বায়ত্তশাসনের জন্য দায়বদ্ধ, বা এতে জড়িত বলে মনে হয়" তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভিসা বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে।
প্রসঙ্গত ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশরা হংকং-এর ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই হংকং-এর শাসন ব্যবস্থার উপর ক্ষমতার জোর দেখাতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন। শি জিনপিং-এর দেশের পরিকল্পনা আঁচ করতে পেরে গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান যে হংকং-কে যে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে তা নির্মূল করার কাজ তিনি শুরু করেছেন।
এদিকে মার্কিন মুলুকের এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ফা হং। তিনি বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভুল সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। অত্যন্ত সংকীর্ণ ক্রিয়াকলাপ এটি। এর ফলে জাতীয় সুরক্ষা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।” Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভাঙচুর করলে ১০ বছরের জেল, নির্দেশনামায় সই ট্রাম্পের
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বা কোনও মূর্তির ক্ষতি করলে সাজা হিসেবে ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাস ভোগ করতে হবে। এমন নির্দেশনামায় সিলমোহর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংক্রান্ত বিষয়ে এগজিকিউটি অর্ডারে সই করেছেন ট্রাম্প।
*উল্লেখ্য়, শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্য়ুর পর থেকেই তপ্ত মার্কিন মুলুক। বর্ণবৈষম্য়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন সে দেশে একাধিক মূর্তিকে নিশানা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। মূর্তি ভাঙচুর ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ কড়ার কথা ক'দিন আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
*এগজিকিউটিভ অর্ডার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, আমার প্রশাসন কোনও হিংস্রতাকে প্রশ্রয় দেবে না।
* হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ''জনরোষ থেকে দেশের ইতিহাস রক্ষার্থে ও সংরক্ষণে আমাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর পদক্ষেপ করলেন''। (Read in English)
বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
চাদরে মোড়া ৩০টি লাশের স্তুপ জমল মেক্সিকোর রাস্তায়, নেপথ্যে পুলিশ?
এ যেন বিক্ষুদ্ধ এক সময়। সীমান্ত বিরোধ হোক কিংবা বর্ণবিদ্বেষ, সংঘর্ষে রক্তক্ষয় অব্যাহত। একে লকডাউন এর উপর অর্থনৈতিক টালমাটাল।এবার অশান্ত হল মেক্সিকো। রাস্তায় পড়ে থাকা ১৪টি লাশের খবর জ্যাকাটেকাসের পুলিশের তরফে জানানো হতেই ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়াল মেক্সিকো জুড়ে।
যদিও মৃত্যুর কারণ বিশদে কিছুই জানায়নি জ্যাকাটেকাসের পুলিশ। কিন্তু ছবিতে দেখা গেল এক মর্মান্তিক দৃশ্য। শহরের নোংরা রাস্তায় একের পর এক মৃতদেহগুলিকে এনে লাশের স্তুপ গড়ছে পুলিশ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে চাদর দিয়ে সেই মৃতদেহগুলিকে মুড়িয়ে সেগুলিকে টেপ দিয়ে বেঁধে ফেলাও হচ্ছে।
মৃত্যু মিছিলের কারণ জানা না গেলেও মেক্সিকোর ফ্রেসনিলো শহরের রাস্তায় মেক্সিকো সিটি পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় বন্দুকবাজেরা। শুক্রবার যে রিপোর্ট সামনে আসে সেখানে দেখা যায় .৫০ ক্যালিবার স্নাইপার রাইফেল এবং গ্রেনেড ছুঁড়ে হামলা চালানো হয় পুলিশ প্রধানের গাড়িতে। এই ঘটনায় সিটি পুলিশ প্রধান ওমর গার্ক গুরুতর আহত হন। তাঁর শরীরে ঢুকেছে তিনটি বুলেট। মৃত্যু হয়েছে তাঁর দুই সুরক্ষাকর্মীরও।
উল্লেখ্য এই ঘটনার এদিন আগে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী রাজ্য সিনালোয়াতে একই ছকে হামলা হয়। সেখানকার পুলিশ জানায় যে তারা সাতটি মৃতদেহ পায়। সেই সাতজনই মিলিটারি দেহের পোশাক পরিহিত ছিলেন। মেক্সিকোর একটি শহর কুলিয়াকানের পার্শ্ববর্তী একটি এলাকা থেকে আরও ৯টি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের হাতে ছিল অ্যাসল্ট রাইফেল। গুলিতে ঝাঁজরা দুটি গাড়িও উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর বুধবার সেখানে বেশ কয়েকটি শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে।
সে রাজ্যের পুলিশ প্রধান ক্রিস্টোবাল কাস্টিয়েডা বলেন, "পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে এই এলাকায় কয়েকটি অপরাধ সংগঠনের মধ্যে গুলির লড়াই চলেছে।" তিনিও এও জানান যে গত মাসেই পাঁচটি বেল্টযুক্ত মেশিনগান, .৫০ ক্যালিবার স্নাইপার রাইফেল এবং ৩৫ হাজার বুলেট উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এর সঙ্গে উক্ত ঘটনার কোনও যোগসাজোশ আছে কি না তা এখন তদন্তাধীন বলেই খবর।Read the full story in English
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে