ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার পারদ চড়লে শেষ পর্যন্ত বেজিংয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমন কোনও গ্য়ারান্টি নেই, এমন কথাই বললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। এদিকে, চলতি বছরের নভেম্বরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন। আর তার আগেই অভিবাসন নীতি এবং ভিসা সংস্কার নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন বিস্তারিত...
'ইন্দো-চিন সংঘাত বাড়লে ভারতের পাশেই ট্রাম্প থাকবেন, এমন গ্য়ারান্টি নেই'
ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার পারদ চড়লে শেষ পর্যন্ত বেজিংয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমন কোনও গ্য়ারান্টি নেই, এমন কথাই বললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। উল্লেখ্য়, ভারত-চিন ইস্য়ুতে আগে মধ্য়স্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
* এক টিভি চ্য়ানেলকে বল্টন জানিয়েছেন, চিন এখন কার্যত যুদ্ধরত অবস্থায় রয়েছে। জাপান, ভারতের মতো দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
*বল্টনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি ভারত-চিন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, তাহলে চিনের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের পাশে যে ট্রাম্প থাকবেন, সে ব্য়াপারে কি কোনও নিশ্চয়তা আছে, জবাবে বল্টন বলেছেন, এটা ঠিক যে কোনও গ্য়ারান্টি নেই।
* বল্টন আরও বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে যে ইতিহাস রয়েছে, সে সম্পর্কে ট্রাম্প খুব একটা অবগত নন। (Read in English)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্যান্য খবর পড়ুন নীচে
রাষ্ট্রপতিপদের 'আমূল সংস্কার' করছেন ট্রাম্প, বদলাচ্ছেন আইন-কংগ্রেস
বিশ্বের আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার সমস্ত ব্যবহার করেছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা পরিবর্তনই নয়, কংগ্রেসও বদলে ফেলছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর সকল প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রটিকে নিজের করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।
* এর আগে ডোনাল্ড পূর্বসূরীরা যা করতে সাহস পাননি সেই কাজই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
* উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ডেমোক্র্যাটিক পরিচালিত হাউস ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের (ইমপিচমেন্ট) অসাধারণ পদক্ষেপ নিলেও সেনেটে তা খারিজ হয়ে যায়।
* এমনটাই মনে করছেন ঐতিহাসিক ডগলাস ব্রিঙ্কলে।
* সংবাদসংস্থা এপি-কে তিনি সাফ জানান, "এটি আমাদের গণতন্ত্রে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।"
বিশ্বের অন্যান্য খবর পড়ুন নীচে
আমেরিকায় 'ভিসা সংস্কার'? মেধাভিত্তিক অভিবাসনের পথে হাঁটছেন ট্রাম্প
চলতি বছরের নভেম্বরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন। আর তার আগেই অভিবাসন নীতি এবং ভিসা সংস্কার নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে জানান হয়েছে মেধাভিত্তিক অভিবাসন পদ্ধতি চালু করার জন্য এক্সিকিউটিভ নির্দেশ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
একটি নিউজ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান তিনি এক্সিকিউটিভ নির্দেশের বিষয়ে কাজ করছেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমেরিকায় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে আবেদন করতে হয় সেই বিষয়টিও থাকছে। ট্রাম্প জানান এই নীতি লাগু হলে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ হবে এবং তরুণ অভিবাসীদের আইনগত সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন, ‘ভারতে করোনার ভ্যাকসিন একুশের আগে নয়’
শুধু তাই নয়, ট্রাম্প প্রস্তাবিত এই অভিবাসনে নীতিতে ডিফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল (ডিএসিএ) নামে পরিচিত নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, "এটা খুব, খুব বড় একটা বিল হতে চলেছে। খুব ভাল একটা বিল। মেধাভিত্তিক অভিবাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে ডিএসিএ-কে। আমার মনে হয় জনগণ খুব খুশি হবে।"
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রস্তাবিত অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধেই রায় দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।মার্কিন মুলুকের শীর্ষ আদালত জানায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার তরুণ অভিবাসীদের আইনগত সুরক্ষা দেওয়া বন্ধ করার যে প্রচেষ্টা করেছিল প্রশাসন তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। আদালত এই অভিবাসীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার যে অনুমোদন রয়েছে তা বহাল রাখছে। প্রসঙ্গত, অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকাকালীন নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই সেদেশে ছিলেন সাড়ে ছ’লক্ষ অভিবাসী। বর্তমানে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রেই থাকছেন। ২০১২ সালে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন তাঁদের নাগরিকত্ব না দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ও কাজ করার আইনি অনুমতি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন, দুই পুলিশকে আক্রমণ করে আত্মসমর্পণে ‘না’, এনকাউন্টারে মৃত গ্যাংস্টার বিকাশ
২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে এই সব অভিবাসন নীতি বিরুদ্ধ প্রস্তাবকে হাতিয়ার করেই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচনী প্রচার চালান ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে তরুণ অভিবাসীদের জন্য এই আইন বাতিল করে জনগণের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করেছিল বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। Read the full story in English
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে