/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/Xi-jinping-Vladimir-Putin.jpg)
বিশ্ব মেরুকরণের রাজনীতিতে রাশিয়া-চিন জোট আরও দৃঢ় হল। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলোর সম্পর্ক এখন তলানিতে। অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিশ্ববাসীর সন্দেহের তালিকায় চিন। এই অবস্থায় চিনের গ্যাসের অভাব মেটাতে এগিয়ে এল রাশিয়া।
শুক্রবার এনিয়ে বেজিংয়ে শি জিনপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হল। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাইড্রোকার্বন উৎপাদক দেশ রাশিয়া। অন্যদিকে চিন বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উপভোক্তা। রাশিয়া থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস কেনে চিন। তালিকা অনুযায়ী চিনে গ্যাস রফতানির ক্ষেত্রে রাশিয়া আছে তিন নম্বরে।
শুক্রবার জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, 'গ্যাস শিল্পে এক বড় পদক্ষেপ ঘটল। রাশিয়া থেকে চিনে প্রতিবছর হাজার কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস জোগান দেওয়া হবে।' সাইবেরিয়ার পাইপলাইনের সাহায্যে রাশিয়া চিনে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। শুধুমাত্র ২০২১ সালেই চিনে ১,৬৫০ কোটি গ্যাস সরবরাহ করেছে রাশিয়া। তারমধ্যে ১,০৫০ কোটি গ্যাস রাশিয়ার পাইপলাইনের সাহায্যে সরবরাহ হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩,৮০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন খেতে গেলে খুলতে হবে না মাস্ক, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোস্ক’ নিয়ে শোরগোল
শুধু চিন না। সাইবেরিয়ার পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপেও গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গ্যাসের দামও। এই পরিস্থিতিতে চিন-এ রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ মস্কো এবং বেজিং উভয়ের পক্ষেই বিশেষ লাভদায়ক হতে চলেছে। পুতিনের এই চিন সফরে রাশিয়ার একদল প্রতিনিধিও যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তেল উৎপাদক সংস্থা রসনেফটের কর্ণধার ইগর সেচিন।