গোটা লকডাউন পর্বে প্রতি ঘণ্টায় কামিয়ে ছিলেন ৯০ কোটি টাকা। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের কয়েকদিন আগেও ছিলেন এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি। কিন্তু চিনের এক কোটিপতির কাছে নিজের স্থান খোয়ালেন রিলায়েন্স কর্ণধার। ঝং শ্যানশ্যান বর্তমানে উঠে এলেন ধনীতম ব্যক্তি হিসাবে। সাংবাদিকতা, মাশরুম চা। এবং পরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় দিকপাল হয়ে তিনি এখন মুকেশ আম্বানি ও আলিবাবা গ্রুপের প্রাক্তন কর্ণধার জ্যাক মাকে সরিয়ে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হলেন। স্বভাবতই স্থানচ্যুত হয়ে বছরের শেষটা খারাপ গেল মুকেশ আম্বানির।
চলতি বছরে ঝংয়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ৭১৯০ কোটি থেকে ৭৭৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তি ঝং। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার সূচক অনুযায়ী, ইতিহাসে এত দ্রুত কারও সম্পত্তির পরিমাণ বাড়েনি। আর সবচেয়ে বড় কথা চিনের বাইরে তাঁকে খুব কমই লোকেই চেনে। ৬৬ বছরের ঝং চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত নন। অন্য ধনকুবেরদের থেকে একটু আলাদা তিনি। ঘনিষ্ঠমহলে পরিচিতি একা নেকড়ে হিসাবে। গত এপ্রিলে বেজিংয়ের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ওয়ানতাই বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি এন্টারপ্রাইজ কোম্পানিকে নিয়ে আসেন। এরপর নংফু স্প্রিং কোম্পানি, প্যাকেজড জল বাজারে নিয়ে আসেন। তারপর হংকংয়ের জনপ্রিয় সংস্থায় পরিণত হয় সেটি।
আরও পড়ুন ‘২০২০-কে আর দেখতে চাইছি না’, জৌলুসহীন বর্ষবরণের প্রস্তুতি আমেরিকার
নংফুর শেয়ার মূল্য ১৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় শুরুতেই। ওয়ানতাইয়ের শেয়ার সব রেকর্ড ভেঙে ২০০০ শতাংশ বাড়ে। আম্বানিরও বছরটা ভালই গেছে। ১৮৩০ কোটি থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৯০ কোটি মার্কিন ডলার। যদিও একসময় বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির রকেট গতিতে উত্থান কিছুটা ধাক্কা খায় ডিজিটাল দুনিয়ায় তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন