প্রণববাবুর প্রয়াণে ভারতীয় রাজনীতি ও প্রশাসনিক জগতে এক যুগের অবসান ঘটল।
অগাস্ট মাসের ১০ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভারতরত্ন তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল।
পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর উপস্থিতি নজির সৃষ্টি করেছে। তাঁর ঘটনাবহুল জীবন প্রকাশের চেয়ে তিনি কিন্তু অনেক গোপনীয়তা লুকিয়ে রেখেছিলেন।
সোমবার বাংলার গুরুত্বপূর্ণ খবর এই প্রতিবেদনে।
“আমি যখন মন্ত্রিসভা থেকে আমার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কথা জানলাম, তখন আমি বিধ্বস্ত এবং হতবাক হয়ে পড়েছিলাম। আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।”
"ব্যক্তিগতভাবে প্রণববাবু আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং বিভিন্ন সময়ে আমি তাঁর ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান উপদেশ পেয়েছি। তিনি আমার জীবনে অভিভাবকতুল্য ছিলেন।"
যাবতীয় কোভিড প্রোটোকল মেনে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষ কৃত্য সম্পন্ন হল।
ইন্দিরাজি বলতেন, 'প্রণবকে কোনো গোপন তথ্য জানানো হলে নিশ্চিত থেকো ওঁর পেট থেকে তা কখনো বেরবে না। শুধু যেটা বেরিয়ে আসবে, তা হল ওঁর পাইপের ধোঁয়া'।"
যদিও তিনি হিমোডায়নামিক্যালি স্থিতিশীল আছেন বলেই সেনা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবারের তুলনায় তাঁর মূত্রাশয় সংক্রান্ত মাপকাঠির সামান্য অবনতি হয়েছে।
এছাড়াও বলা হয়েছে যে, প্রণববাবুর শারীরিক অবস্থার কোনও বদল হয়নি।তাঁর ভাইটাল প্যারামিটারগুলো স্থিতিশীল ও তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টেই রাখা হয়েছে।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রয়েছে ডাক্তারদের এক বিশেষজ্ঞ দল। তাঁকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
সেনাবাহিনীর রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালের তরফে বুধবার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে।
আজ বিদায়৷ চির বিদায়। এক অজাতশত্রু রাজনৈতিক নেতা যিনি চিরকাল ভারতীয় বহুত্ববাদে বিশ্বাস রেখেছেন। সংঘাত নয়, ঐক্যের রাস্তায় হাঁটতে চেয়েছেন।
হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে যে, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ক্লিনিক্যাল প্যারামিটারগুলি স্থিতিশীল রয়েছে, তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।
এখনও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্য়ায়। তাই এ বছর স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল না প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির।
শুক্রবারই প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, 'বাইরের উদ্দীপনা ও চিকিৎসায় উনি সাড়া দিচ্ছেন।'
