Union Budget 2020 Analysis:
কার্যত ধুকছে দেশের অর্থনীতি। সেই অবস্থাতেই লোকসভায় পেশ হল এনডিএ-২ সরকারের প্রথম পুর্নাঙ্গ বাজেট। আড়াই ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন যা বললেন তাতে স্বস্তির খবরও যেমন রয়েছে, মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ পড়ার মতো ঘোষণাও রয়েছে। সব মিলিয়ে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সদ্য পেশ হওয়া বাজেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি।
আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ল বাজেটে, সবচেয়ে বেশি স্বস্তির খবর এটাই। ৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় পর্যন্ত কোনও আয়কর নয়। ৫ লক্ষ থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা আয়ে- ১০ শতাংশ কর। সাড়ে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ে আয়কর ১৫ শতাংশ । ১০ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা আয়- ২০ শতাংশ কর। সাড়ে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়- ২৫ শতাংশ কর।
আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৩.৮ শতাংশ।
ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের জন্য এতদিন ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হত, এখন তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হল।
আরও পড়ুন, বাজেট ২০২০: একনজরে বড় ঘোষণা
কৃষিক্ষেত্রে সৌরশক্তির ব্যবহারের ওপর জোর দেবে কেন্দ্র। ৬ কোটির বেশি কৃষককে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা-র আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবার ২০ লক্ষ কৃষককে সোলার পাম্প দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষিকাজে দরকারি পণ্য সমুহ কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কিষান রেল প্রকল্প তৈরির ঘোষণা। দেশের ভেতরে এবং ভিনদেশে কৃষিজাত পণ্য পাঠানোর জন্য ক্রিশি উড়ান প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছে।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ৬৯০০০ কোটি টাকা।
শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ৯৯,৩০০ কোটি টাকা। পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য ডিগ্রি স্তরের অনলাইন কোর্স চালু করার প্রস্তাব পেশ হয়েছে বাজেটে। ৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে দক্ষতা বাড়ানোর স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্পে।
আরও পড়ুন, আয়করে নয়া চমক মোদী সরকারের, স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত
স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে বরাদ্দ ১২,৩০০ কোটি টাকা। এছাড়া প্রতি পরিবারে জল সরবরাহের জন্য 'নল সে জল' প্রকল্পের প্রস্তাব।
পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে মজবুত করতে ৯০০০ কোটি টাকার ইকোনমিক করিডোরের প্রস্তাব। ২০২৩ এর মধ্যে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত।
৫৫০টি রেল স্টেশনে ওয়াই ফাই পরিষেবা
সারা দেশে ডেটা সেন্টার পার্ক তৈরির প্রস্তাব বেশ বাজেটে। ভারতনেটের জন্য ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হল ৬০০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কোয়ান্টাম প্রযুক্তির জন্য পাঁচ বছরে ৮০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হল।
আরও পড়ুন, এলআইসি-র শেয়ার বিক্রির পথে কেন্দ্র
শিল্প এবং বাণিজ্য খাতে ২৭,৩০০ টাকা বরাদ্দ
পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে পুনঃ ব্যবহারযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে ২০০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, বিদ্যুতের জন্য স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা।
পুষ্টি প্রকল্পে ৩৫, ৬০০ কোটি টাকা, এবং তফশিলি জাতির উন্নয়ন প্রকল্পে ৮৫০০০ কোটি বরাদ্দ।
পর্যটন শিল্পে বরাদ্দ হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন, এবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য সংগ্রহ হয়েছে উইকিপিডিয়া থেকে
দেশের প্রবীণ নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হল ৯০০০ কোটি টাকা। তফশিলি জাতির উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে ৫৩, ৭০০ কোটি টাকা, জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র এবং মাঝারি মাপের শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধার ঘোষণা
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি-র শেয়ারের অংশ বিশেষ বিক্রির সিদ্ধান্ত ঘোষিত হল এই বাজেটে। এর ফলে কার্যত বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যেতে পারে জীবন বিমা সংস্থা, এমনি আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।