Advertisment

বড় বদলের ইঙ্গিত! স্কুল সার্ভিস কমিশন কি তুলে দিচ্ছে ইন্টারভিউ-কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া?

স্কুল সার্ভিস কমিশন যে কাউন্সেলিং ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া তুলে দিয়ে লিখিত পরীক্ষার ওপর মূলত জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সম্ভাব্য নিয়ম বদল নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, উঠে যেতে পারে কাউন্সেলিং ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। অর্থাৎ ইন্টারভিউ পরীক্ষা উঠে গেলে প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষা ছাড়া আর কোনো পরীক্ষাই দিতে হবে না। সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

Advertisment

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সহজ করা হবে। সে জন্যই উঠে যাচ্ছে মৌখিক পরীক্ষা। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার ওপরই জোর দেওয়া হবে। সেই মেধা তালিকার ভিত্তিতেই আগামী দিনে শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হবে। আরও জানা যাচ্ছে, শুধু ইন্টারভিউই নয়, উঠে যাচ্ছে একাধিক ​র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কাউন্সেলিং বা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া না থাকলে ফর্ম তোলা থেকে নিয়োগ, সবটাই মাত্র ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই সেরে ফেলা যাবে। অন্য আরেকটি সূত্র আবার জানাচ্ছে, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দশ থেকে পাঁচ করা হতে পারে। অর্থাৎ মৌখিক পরীক্ষা তুলে দেওয়াই বা নম্বর কমানো হোক তাতে যে কাউন্সেলিং ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বিশেষভাবে কমতে চলেছে সেই আভাস সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সমাবর্তনে পরতে হবে খাদির পোশাক, বিশ্ববিদ্যালয়দের নির্দেশ ইউজিসি-র

উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগের চলতি নিয়ম অনুযায়ী, সঠিকভাবে ফর্ম ভর্তির পর নির্দিষ্ট দিনে চলে আসে অ্যাডমিট কার্ড। এরপর অ্যাডমিট কার্ডে উল্লিখিত তারিখ ও জায়গায় পরীক্ষা দিতে যেতে হয় পরীক্ষার্থীদের। এর ফলাফল অনলাইনে প্রকাশিত হয়। তবে প্রাপ্ত নম্বর দেখা যায় না। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও জন্ম তারিখ নথিভুক্ত করলে ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না। এরপর নির্দিষ্ট দিনে ডকুমেন্ট ভ্যারিফিকেশন করতে হয়। তারপর ডাকা হয় ইন্টারভিউ ও কাউন্সেলিংয়ের জন্য। এই প্রক্রিয়া কবে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয় ওয়েবসাইটেই। কিন্তু নিয়মে যে পরিবর্তনের কথা জানা যাচ্ছে তা লাগু হলে শুধু ফর্ম ভর্তি করে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই সরকারি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যাবে। অথবা, নামমাত্র কম গুরুত্বের মৌখিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে।

আরও পড়ুন: WBTET 2017: বাংলায় ফিরছে টেট, চার বছরের অপেক্ষার অবসান

আরও জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক বিভাগ ও উচ্চপ্রাথমিকের জন্য এবার থেকে আর আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। যে কোনও শ্রেণিতে নিয়োগের পরীক্ষার জন্য একবারই আবেদন করবেন প্রার্থীরা। আগে প্রাথমিক বিভাগ ও পাস, অনার্স, মাস্টার্সের আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন স্কেলে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হত।

আরও পড়ুন: ‘স্বীকৃত শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল”

এই সম্ভাব্য নতুন নিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে শিক্ষক-পরীক্ষার্থী-প্রশাসনিক মহলে। নাম প্রকাশে না করার শর্তে এক শিক্ষিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ''এখন এমসিকিউ প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়। অধিকাংশই আন্দাজে উত্তর দিয়ে থাকে। তাতে সে পাশ করলেও ইন্টারভিউতে একটা যাচাইয়ের সুযোগ থাকত। এতে বোঝা যেত যে পড়ানোর যোগ্যতা তার আছে কিনা। আসলে ইন্টারভিউ তুলে কাজ কমাতে চাইছে সরকার''। অন্যদিকে, এসএসসি প্রার্থী মইদুল ইসলাম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, "বদল যখন আনছেই তখন ইন্টারভিউ না তুলে, এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে দেওয়া উচিত। পুরানো দুই নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা শুরু করলে ভালো হয়। এমসিকিউতেই দুর্নীতির বীজ লুকিয়ে আছে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া তুলে নেওয়া কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।"

kolkata news
Advertisment