PM Narendra Modi Top Statements in West Bengal Lok Sabha Election 2019: সংখ্যার হিসাবের ভিত্তিতে যথেষ্ট তারতম্যের পরেও সমস্ত এক্সিট পোলের দেওয়া আভাসে একটাই মিল। প্রতিটি সংস্থার হিসাবই বলছে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ সরকার। বহু বুথ ফেরত সমীক্ষার মত বিজেপির একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনীতি মহল হোক, বা পাড়ার আড্ডা, সব জায়গায় এখন আলোচনা একটাই। সত্যিই কি মিলবে এক্সিট পোলের অনুমান? মোদী সিংহাসনে বসলে কোন গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে? এমনিতেই ক্ষমতায় আসার ৫ বছর পর শেষ দফার নির্বাচনের আগে প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করলেন মোদী। কিন্তু তাতেও সরাসরি সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নেরও জবাব না দিয়ে দেখিয়ে দিলেন অমিত শাহকে। বললেন, "বিজেপিতে উনিই সব"।
লোকসভার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
Amit Shah Statements in West Bengal During Election 2019: বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কী বলেছেন অমিত শাহ?
*এক্সিট পোলের অনুমান মিলে গেলে সরকারের বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদেই আসার সম্ভাবনা অমিত শাহের। ২০১৯ এর নির্বাচনী প্রচারে শাহ একাধিকবার এসেছিলেন বাংলায়। মমতার সঙ্গে বেশ কয়েক বার রাজনৈতিক বচসাতেও জড়িয়েছেন তার মাঝে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে অমিত শাহের কিছু উক্তি।
*শেষ দফার নির্বাচনে অমিত শাহের কলকাতার রোড শো নিয়ে উত্তাল হয় শহর। বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সভাপতি বলেন,‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিজেপি ভাঙেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মীরাই মূর্তি ভেঙেছে। ‘‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থেই তৃণমূলের গুন্ডারাই মূর্তি ভেঙে এখন নাটক করছে’’।
আরও পড়ুন,‘মাটির রসগোল্লা’ থেকে ‘থাপ্পড়’, উনিশের প্রচার মাত করলেন মমতা
*কলকাতার রোড শোতে মমতাকে নিশানা করে মোদী সেনাপতি বলেন, ‘‘আপনি শুধু ৪২টি আসনে লড়ছেন, আমরা সব রাজ্যে লড়ছি। বাংলাতেই শুধুমাত্র হিংসা হচ্ছে। অন্য কোথাও হয়নি। গত ৬ দফার ভোটে কোনও রাজ্যে হিংসা ছড়ায়নি। শুধুমাত্র বাংলাতে ছড়িয়েছে, কারণ এখানে তৃণমূল রয়েছে। বিজেপি যদি হিংসা করত, তাহলে সব রাজ্যে হত’’।
*ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে আরামবাগের সভায় বাংলায় ফের ভোটপ্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বলেন, ‘‘জয় শ্রী রাম স্লোগান শুনে মমতাদি অসন্তুষ্ট হচ্ছেন। রামের নাম ভারতে করব না তো কি পাকিস্তানে করব? রামের নাম বলব, ক্ষমতা থাকলে আটকান’’।
*‘‘ইউপিএ আমলে পাক সন্ত্রাসবাদীরা দেশে ঢুকে পড়ত। মোদীর আমলে বালাকোটে জঙ্গি ডেরায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে সেনা। ভোটব্যাঙ্কের জন্য সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে রাহুল-মমতা আলোচনা চাইছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাহুল-মমতা বলুক, বিজেপি নয়’’, আরামবাগের সভায় বললেন অমিত শাহ।
*পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি লাগু হবেই বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে এদের রাজ্যের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। তবে হিন্দু এবং বৌদ্ধ উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।"বাংলায় এন আর সি চালু করা হবে। কোনো শরণার্থীর অসুবিধা হবে না। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের ছাড়া হবে না। তোষণ আর অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। দেশের সুরক্ষা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না"
*রায়গঞ্জে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা উইপোকার মত। গরিবদের জন্য যে ফসল যাওয়ার কথা সেগুলো তারা খেয়ে নিচ্ছে, গরিবদের কাজ নিয়ে নিচ্ছে। টিএমসি-র টি-এর অর্থ তুর্কমেনিস্থান, এম মানে মাফিয়া আর সি হল চিটফান্ড।”
*"বাংলায় দূর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, রাম নবমী পূজা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারকে কি চলতে দেওয়া উচিত? বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসুন আপনাদের কোনোরকম অসুবিধা হতে দেওয়া হবে না"
*"চিটফান্ড কেলেঙ্কারি বাংলার মানুষের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। আমাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিন, তারপর কাউকে ছাড়া হবে না ৯০ দিনের মধ্যে চিটফান্ডের অভিযুক্তদের জেলে ভরা হবে"।
আরও পড়ুন,‘অহংকারী’ মমতার রাজ্যে উনিশের ভোটে কী কী বললেন মোদী?
*সিন্ডিকেটের রাজ্য হয়ে গেছে বাংলা, কোথায় যাই সেই টাকা? বাংলাকে পরিবর্তন করতে বিজেপিকে ভোট দিন
*"মমতার মা মাটি মানুষ স্লোগান কোথায় গেলো? বাংলার চারিদিকে বোমা বারুদের শিল্প। এই বাংলাকে আপনারা চান? বাংলাকে একমাত্র পরিবর্তন করতে পারেন মোদী জী"
*বনগাঁর সভায় অমিত শাহ বলেন, ‘‘২৩ তারিখের পর বাংলায় পরিবর্তনের সূর্য উঠবে।পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ছড়িয়েছিলেন মমতা দিদি। এই লোকসভা নির্বাচন বাংলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় গণতন্ত্র থাকবে কিনা ঠিক করে দেবে এই নির্বাচন"
*সোমবার বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘বাংলায় বড় পরিবর্তন হতে চলেছে…গত দু’দফার ভোটে মমতার হার স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তাই তিনি বিজেপি নেতাদের কপ্টার আটকাচ্ছেন। মমতার সভায় ভিড় হচ্ছে না, তাই ক্যামেরায় শুধু মঞ্চ দেখানো হচ্ছে। গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন মমতা। এখন তিনি নিজেই গণতন্ত্রের কথা বলছেন’’। এরপর হাওড়ার উলুবেড়িয়া, নদিয়ার কৃষ্ণনগর, বীরভূমের রামপুরহাটের সভা থেকে চেনা কায়দায় মমতাকে বিঁধে শাহ বলেন, ‘‘বাংলাকে কাঙাল বানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের নতুন মানে জানেন? টেরর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি।’’