General Election 2019: মোদী-মমতার বাগযুদ্ধের সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। রাজনৈতিক আঙিনা ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণও শুরু হয়ে গিয়েছে। লড়াইয়ের মঞ্চে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ মমতা-মোদী। আসন্ন ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে একে অপরের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েই ভোট মঞ্চ মাতালেন যুযুধান দু'পক্ষই। মোদী এদিন একদিকে মমতাকে 'অহংকারী' বলেন। অন্যদিকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ও বাঁকুড়ার জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন, মোদী তাঁর কড়ে আঙ্গুলের যোগ্যও নয়।
আরও পড়ুন- ‘দিদির থাপ্পড়, আমার কাছে আশীর্বাদ’
প্রধানমন্ত্রী জনসভা করে যাওয়ার পর বাঁকুড়ায় এসে মোদীকে এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, "উনি পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা লাগিয়ে দু-একটা আসন পাবার চেষ্টা করছে"। এদিন সভা মঞ্চ থেকেই ব্যঙ্গার্থক সুরে এরপর নমোকে বিঁধে তিনি বলেন, "তুমি পাঁচ বছরে কি করেছ বাবু? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়ে আঙ্গুলের যোগ্য তুমি নও"। শুধু তাই নয়, মমতার মতে মোদী এই মুহুর্তে 'হারাতঙ্ক' রোগে ভুগছেন। তাঁর সভার শেষ লগ্নে বোফর্স কেলেঙ্কারী নিয়ে রাজীব গান্ধীকে আক্রমণকারী মোদীর বিরুদ্ধে নয়া সুর চড়িয়ে জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মমতা বলেন, "গলিগলি মে শোর হ্যায়, চৌকিদার চোর হ্যায়"।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন,এখানে
উল্লেখ্য, এদিন বাঁকুড়ায় জনসভা করতে এসে ‘অহংকারী’ মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ করেছেন নমো। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “বাংলাকে বরবাদ করছেন মমতা। তিনি পিছনে থেকে তাঁর ভাইপো, জগাই মাধাই তোলাবাজদের দিয়ে সন্ত্রাসের রাজনীতি চালাচ্ছেন”। এরপরই তিনি বলেন, “আমি ওনাকে দিদি বলি, সম্মান করি। কিন্তু দিদি বলেছেন মোদীকে “থাপ্পড়” মারবেন। আপনার থাপ্পড় আমি মাথা পেতে নেবো, আশীর্বাদ হিসেবে ধরে নেবো”। মোদীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রীর জবাব, "আমি থাপ্পড় মারব বলিনি, মিষ্টি দেব বলেছি। আমি বলেছি 'গণতন্ত্রের' থাপ্পড় দেবো। আমি নয় ভোটের মাধ্যমে মানুষই ওনাকে এই গণতন্ত্রের থাপ্পড় দেবে। আর আমি স্টোনচিপের লাড্ডু খাওয়াব"।
আরও পড়ুন- “পাগলা কুকুর থেকে ভামাসুর, কত গালাগালই না দিয়েছে আমাকে”
বাংলায় এসে শেষ বেলাতেও ক্ষান্ত হননি নমো। তৃণমূলের 'মা-মাটি-মানুষ' স্লোগানকে কটাক্ষ করে পুরুলিয়ার সভা থেকে মোদী বলেন, "মা কাঁদছে, মাটি রক্তাক্ত, মানুষ ভয়ে আছেন"। মমতা কয়লা কালোবাজারির সঙ্গে যুক্তদের সরকারের অংশ করেছেন বলেও তোপ দেগেছেন মোদী। মোদীর এমন মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে মমতা বলেন, প্রমাণ দিতে পারলে রাজ্যের ৪২ আসন থেকেই প্রার্থী তুলে নেব।