Lok Sabha Election 2019 Result Latest Updates:
বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলে গেল অক্ষরে অক্ষরে। অনায়াসে ম্যাজিক ফিগার পার করে ৩৫০টি আসনে জয়ী হয়েছে এনডিএ সরকার। গণনা শুরুর পর থেকেই ট্রেন্ড অবশ্য সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছিল। ইউপিএ পেয়েছে মাত্র ৮৬টি আসন। অন্যান্যরা ১০৬টি।
তবে ভোটগণনা শুরু হওয়ার পরপরই ক্ষমতায় মোদী ফেরার ইঙ্গিতে সেনসেক্স ৬০০ পয়েন্ট বেড়ে ৪০০১৫ সূচক ছুঁয়েছে সেনসেক্স। খুব সম্ভবত সর্বকালীন উচ্চতা ছুঁল সেনসেক্স। এখনও পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলে বারাণসীতে ৫ লক্ষ ভোটে জিতলেন নরেন্দ্র মোদী। গান্ধীনগরে ৫ লক্ষের বেশি ভোটে জিতলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সাংবাদিক বৈঠকে একই সঙ্গে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে মোদীকে শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন, দিল্লির সিংহাসন কার? শুরু হল ভোটগণনা
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অবশ্য বলছেন মোদী ঝড় নয়, আসলে এটি 'হিন্দুত্ব ঝড়'।
এক মাসের বেশি সময় ধরে সাত দফায় চলেছে দেশের ১৭ তম সাধারণ নির্বাচন। ব্হস্পতিবার প্রকাশিত হল তারই মার্কশিট। আগামী পাঁচ বছর দিল্লি থাকছে কার দখলে, স্পষ্ট হয়ে গেল তা। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট , তারপর ইভিএম, সবশেষে হল ভিভিপ্যাট গণনা। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই প্রথমবার ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহার করা হল।
কংগ্রেসের নেতৃত্বে ২২টি বিরোধী দল ভিভিপ্যাট গণনার পদ্ধতি পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছিল। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন, বাংলায় আধিপত্য কার উত্তরের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য
জাতীয় রাজনীতির বিচারে এবারের হেভি ওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, স্মৃতি ইরানি, মানেকা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, সনিয়া গান্ধী, শত্রুঘ্ন সিনহা, কানহাইয়া কুমার, মুনমুন সেন, বাবুল সুপ্রিয়, সাধ্বী প্রজ্ঞা, অখিলেশ যাদব, গৌতম গম্ভীর, উর্মিলা মাতোন্দকরেরা।
১৯ মে সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরই এক্সিট পোলের ওপর থেকে উঠে গিয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষার হিসাব আগেই বলেছিল দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ সরকার। যদিও রাহুল থেকে মমতা, বিরোধী দলনেতাদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছিলেন এক্সিট পোলে আস্থা নেই তাঁদের।
গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রারম্ভিক ট্রেন্ড বলছে কর্ণাটকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে কিছুটা অপ্রত্যাশিত হলেও উত্তরপ্রদেশের আমেঠি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধী হেরে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি ইরানির কাছে। কেরালার ওয়েনাড় কেন্দ্রে ৪ লক্ষ ভোটে জিতলেন রাহুল। রায়বরেলিতে জিতলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী।
আরও পড়ুন, রাজ্যে অনেক এগিয়ে গেল তৃণমূল, বিজেপি দু নম্বরেই
চূড়ান্ত ফলাফল বলছে বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিং-প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি ভোটে হারিয়ে দিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে।
পশ্চিমবঙ্গে ৪২টির মধ্যে ২২টি আসনে জিতল তৃণমূল। ১৮টি আসনে বিজেপি। কংগ্রেস জিতল ২টি আসনে। ২০১১ পর্যন্ত লাগাতার ৩৪ বছর বাংলায় ক্ষমতায় থাকা সিপিআই(এম) একটিও আসন পায়নি।
মধ্যপ্রদেশের ভোপাল কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংকে পেছনে ফেলে ২ লক্ষের বেশি ভোটে জিতে গেলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা।
২০১৮-এর বিধানসভা ভোটে ছত্তীসগড়ে ধস নেমেছিল গেরুয়া শিবিরে। সেই রাজ্যেও বিজেপি জয় পেল। অন্যদিকে যে মুম্বইতে বিজেপি-শিবসেনা প্রাক নির্বাচনী জোট হওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সেখানে প্রতি আসনেই জিতল জোট।
দিল্লির সাত'টি কেন্দ্রেই জিতল বিজেপি। কেরালায় ২০টির মধ্যে ১৫ টি আসন পেল কংগ্রেস। এর মধ্যে ওয়েনাড়ে রাহুল, তিরুবনন্তপুরমে শশী থারুর জয়ী হলেন প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে। তামিলনাড়ুতে ২৩টি আসন পেল ডিএমকে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, কর্নাটক থেকে কার্যত ধুলিস্যাৎ কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশে ধরাশায়ী সপা-বসপা জোট। ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি জিতল ৬৮টি আসন।