General Election 2019: ইসলামপুরের দাড়িভিটে স্কুলের অশান্তিতে দুই ছাত্রের মৃত্যুর আট মাসের মাথায় রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। অভিযোগ ছিল, পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সিবিআই তদন্তের আশায় ওই দুজন যুবকের দেহ এখনও পড়ে রয়েছে গ্রামে নদীর পাড়ের কবরে। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের সভায় সেই দুই নিহত ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আমিত শাহ।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
বৃহস্পতিবারের জনসভায় শাহ বলেন, "ওই দুই যুবকের দাবি ছিল বাংলা ভাষায় পড়ানো। উর্দু পড়ানোর বিরোধিতা করেছিল তাপস ও রাজেশ। উর্দুর প্রতিবাদ করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল ওই দুজনকে। লোকসভার ভোটে ওই ঘটনার বদলা নেবেন না আপনারা? এ রাজ্যে বাংলায় পড়ানোর দাবি করে ওরা কী দোষ করেছিল?" এরপরই মমতাকে বিঁধে মোদী সেনাপতি বলেন, "গোটা বাংলায় উর্দু পড়াতে চায় মমতা।"
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ‘উইপোকা’: অমিত শাহ
কালিম্পঙের সভাতে মমতাকে নিশানা করে অমিত শাহ আরও বলেন, "বাংলায় ৬০ জনের বেশি বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে গোর্খাদের ওপর অত্যাচার করছে পুলিশ-প্রশাসন। বিজেপি কর্মীদের খুন করে বাংলার আওয়াজ বন্ধ করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমরা লড়াই করে আপনাকে হারাবই হারাব।" পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন মতুয়াসহ সমস্ত শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভোটের পর দার্জিলিং নিয়ে ফয়সালা করার চেষ্টা করব: মমতা
রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস খোলাখুলি অরাজকতা ও গুন্ডাগিরি চালাচ্ছেন বলে রায়গঞ্জের সভায় অভিযোগ করেন শাহ। তাঁর বক্তব্য, "এমন হিংসা ছড়াচ্ছে, মহিলা-সহ সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে রাজ্য সরকার বাধা দিচ্ছে কমিশনকে।" তবে সরকারে উল্টো গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন অমিত। মমতার সন্ত্রাস থেকে মোদীই বাঁচাতে পারেন বলে এদিন মন্তব্য করেন অমিত। মমতার সরকারকে মূল থেকে উচ্ছেদ করার ডাকও দেন তিনি।