Sanjay Dutt biography: চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় বিনোদন জগতে, বিশেষ করে বলিউডে সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব সঞ্জয় দত্ত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে তিনি শিরোনামে থেকেছেন। লেখক-প্রযোজক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের মতে, সঞ্জয় বরাবরই ছিলেন একজন সফ্ট টার্গেট এবং অবশ্য়ই রাজনৈতিক টার্গেট। তাঁর মতো বর্ণময় জীবন খুব কম বলিউড তারকারই রয়েছে এবং সঞ্জয় শুধু তারকা নন, ভারতের প্রথম তারকাসন্তান বা স্টারকিড বলা যায়। কিন্তু তাঁর বর্ণময় জীবনের অনেক কিছুই এখনও অজানা রয়ে গিয়েছে। আর সেই জানা-অজানা গল্প নিয়েই রাম কমল মুখোপাধ্য়ায়ের বই ওয়ান ম্য়ান, মেনি লাইভস।
প্রাক্তন সাংবাদিক-সম্পাদক রাম কমল মুখোপাধ্য়ায় ইতিমধ্য়েই বলিউড কিংবদন্তি হেমা মালিনী-র জীবনীগ্রন্থকার হিসেবে সর্বজনবিদিত। 'ডিভা আনভেইলড' ও 'বিয়ন্ড দ্য় ড্রিমগার্ল'-- হেমা মালিনীর বলিউড ও বলিউড-পরবর্তী জীবনের দু'টি তথ্য়সমৃদ্ধ প্রাঞ্জল জীবনীগ্রন্থ। লেখকের কলমের মুন্সিয়ানায় দু'টি বইতেই পাঠকের কাছে স্বপ্নসুন্দরী ধরা দেন অন্য মাত্রায়।
আরও পড়ুন: ‘শেষের কবিতা’র পরে কী! একই বিষয়ে দু’টি ছবি, অবাক পরিচালকেরা
ঠিক তেমনই সঞ্জয় দত্তের জীবনের বহু জানা-অজানা কাহিনি দিয়ে রাম কমল মুখোপাধ্য়ায় সাজিয়েছেন এই জীবনীগ্রন্থ। তবে সঞ্জয়ের জীবনী এই প্রথম নয়, আর এক প্রাক্তন সাংবাদিক ইয়াসের উসমানের লেখা বইটিও বেশ জনপ্রিয়। আবার শোনা যাচ্ছে, সঞ্জয় দত্ত নিজেও কলম ধরেছেন নিজের কথা লিখবেন বলে। সেক্ষেত্রে আবারও একটি জীবনীগ্রন্থ কেন, বিশেষত যেটি তারকার দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত নয়?
এই প্রসঙ্গে রাম কমল মুখোপাধ্য়ায় জানালেন, ''সাংবাদিক হিসেবে বহু বার আমার দেখা হয়েছে সঞ্জুর সঙ্গে কিন্তু সত্য়ি কথা বলতে কী, ওঁর সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি কখনও। আমাদের প্রজন্মের তারকাদের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি যদি কাউকে ভুল বুঝে থাকেন মানুষ, তবে সেটা সঞ্জু। আর সেটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দেয়। প্রায় দু'বছর এটা নিয়ে কাজ করেছি। ওঁকে নিয়ে গবেষণা করতে করতে উপলব্ধি করেছি যে ওঁর পেশীবহুল শরীর ও প্রায় নির্জীব দু'টি চোখের পিছনে আসলে একজন শিশু লুকিয়ে রয়েছে। আর সেই গল্পটাই বলতে চেয়েছি আমি।
আরও পড়ুন: শেষ হচ্ছে ‘আমি সিরাজের বেগম’-সহ চারটি ধারাবাহিক
'ওয়ান ম্যান, মেনি লাইভস' হল সঞ্জয় দত্তের একটি কেস স্টাডি। রাম কমল মুখোপাধ্য়ায় জানালেন, তারকার জীবনের নানা ঘটনাবহুলতার মধ্য়ে দিয়ে বলিউডের ক্রমবিবর্তনকেও ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাই ঠিক জীবনীগ্রন্থ না বলে অনেকটা বিশ্লেষণাত্মক উপস্থাপনা বলা ভাল এই বইটিকে। 'রূপা' থেকে প্রকাশিত ১৯০ পৃষ্ঠার এই বইতে রয়েছে ১৩টি অধ্যায়।
''সঞ্জয় খুবই রহস্যময় একজন ব্যক্তিত্ব। ওঁকে নিয়ে লিখতে লিখতে একাধিকবার আবেগের দোলাচলে পড়েছি। নতুন করে সুনীল দত্তজি ও নারগিসজিকে ভালবেসেছি... তারকাময় জীবনযাপনের পিছনে কতটা যন্ত্রণায় দিন কেটেছে মান্যতার, নতুন করে সেটা উপলব্ধি করেছি। সেই সব উপলব্ধি থেকেই সঞ্জয়ের সারল্য়কে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি'', জানালেন লেখক, ''আমি নিশ্চিত এই বইটি পড়ে সঞ্জয় আশাহত হবেন না। এই বই তাঁর মতোই বড্ড স্পর্শকাতর, ভঙ্গুর বলা যায়।''