দাদা যদি সুপারস্টার হন, তাহলে ভাইয়ের নিশ্চয়ই কোনও লাভ থাকে? নাকি! এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুলেছেন আমিরের ভাই ফয়সাল। আমিরের দুই দিদিকে মাঝে মধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা যায়। তবে, তাঁর ভাই খুব একটা দাদার সঙ্গে ঘোরেন না। এবার তাঁকেই বলতে শোনা গেল নানা কথা। দাদা তাঁর সঙ্গে কী করতেন এমনটাও শোনা গেল তাঁর মুখে।
আমিরের ভাই ফয়সাল সোজাসুজি নিজের ব্যক্তিগত এবং নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু, সুপারস্টার যে তাঁর ভাইকে বাড়িতে বন্ধ করে দেবেন একথা কেউ ভাবতে পেরেছিলেন? তবে এবার ফয়সাল ভাইয়ের কাণ্ডকীর্তি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তাঁকে নাকি পাগল প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল...তাঁর ভাই বললেন..
Rachana Banerjee: ‘দিদি নম্বর ওয়ান বন্ধ হলে আন্দোলন হবে’, কেন পার্লামেন্টে একশো শতাংশ হাজিরা দিতে পারেন না রচনা?
"তারা বলেছিল, আমার নাকি সিজোফ্রেনিয়া হয়েছে এবং আমি নাকি একেবারে পাগল, সমাজের জন্য বিপজ্জনক। আমির আমাকে প্রায় এক বছর ঘরের ভেতর আটকে রেখেছিল। আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। ঘরের বাইরে পাহারায় থাকত দেহরক্ষী। আমাকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো হতো।" কিন্তু, এসবের পরেও তিনি চেয়েছিলেন তাঁর কেরিয়ারটা যাতে ফেরত পেতে পারেন। সিনেমার সব বড় বড় মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। বলেন...
Bollywood: ভারতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ অধরাই …
“আমি কয়েকজন সিনে- জগতের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। যশরাজ ফিল্মসের বাইরে গিয়ে আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করি, কিন্তু তারা আমাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়নি। শুধু একটা চিরকুট রেখে এসেছিলাম। শাহরুখ খানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলাম। হয়তো ভেবেছিলাম, ওর আর আমিরের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শাহরুখ আমাকে সেভাবে গ্রহণ করেননি। এমনকি মান্নাতের বাইরে গিয়েও তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম। কেউ কখনও আমার সামনে সরাসরি ‘পাগল’ বলেনি, কিন্তু নিশ্চিতভাবে পেছনে পেছনে তা বলেছে।”
তিনি এও জানান, সলমনের সঙ্গে নাকি দেখা করতে চেয়েও পারেননি। আরবাজ খানের কাছে গিয়েছিলেন, তবে লাভ হয়নি।