Govardhan Asrani Passes Away: আলোর উৎসবে-ই খসে পড়ল নক্ষত্র, কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সিনেপাড়া

Govardhan Asrani Passes Away: বলিউডে হাসির রাজ্যে যিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য নাম, সেই গোবর্ধন আসরানি আর নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ অর্থাৎ সোমবার মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা-পরিচালক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

Govardhan Asrani Passes Away: বলিউডে হাসির রাজ্যে যিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য নাম, সেই গোবর্ধন আসরানি আর নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ অর্থাৎ সোমবার মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা-পরিচালক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
Actor Asrani dies at 84 in Mumbai

দীপাবলিতেই বলিউডের নক্ষত্র পতন, ৮৪তে পঞ্চভূতে বিলীন শোলের সেই বিখ্যাত জেলার আসরানি

Govardhan Asrani Passes Away: বলিউডে হাসির রাজ্যে যিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য নাম, সেই গোবর্ধন আসরানি আর নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ অর্থাৎ সোমবার মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা-পরিচালক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

Advertisment

ভাট পরিবারের প্রথম অভিনেত্রী, ইমরানের সঙ্গে কী সম্পর্ক তাঁর? চলে গেলেন আলঝেইমারে..

১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম গোবর্ধন আসরানির। ছোটবেলা থেকেই নাটক ও অভিনয়ের প্রতি ছিল প্রবল টান। পড়াশোনা শেষ করে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর সাহিত্যের শিক্ষক কলাভাই ঠাক্কারের কাছে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন এবং ১৯৬২ সালে স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন, বড় পর্দায় নিজের জায়গা তৈরি করতে। সেই সময়ই ভাগ্য চাকার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক হৃষিকেশ মুখার্জি। এই কিংবদন্তি পরিচালকের পরামর্শেই আসরানি ভর্তি হন পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-এ। ১৯৬৬ সালে সেখান থেকে উত্তীর্ণ হন তিনি। কিন্তু প্রথম দিকে সুযোগ খুব একটা আসছিল না। হাম কহাঁ জো রহে হ্যায়, হরে কাঁচ কি চুড়িয়াঁ, উমং ও সত্যকাম-এর মতো ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও আলোচনায় আসেননি। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি এফটিআইআই-এ শিক্ষকতা শুরু করেন, যা পরে হয়ে ওঠে তাঁর জীবনের বড় টার্নিং পয়েন্ট।

Advertisment

'আমি সুরক্ষিত না', আবাসনের নিচে বাজির দোকান! কালীপুজোর দিন ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্রীলেখা

গুলজারের সুপারিশে হৃষিকেশ মুখার্জি তাঁকে ডাকেন তাঁর নতুন ছবি গুড্ডি (১৯৭১)-এর জন্য। জয়া ভাদুড়ীকে নায়িকার চরিত্রে নেওয়ার জন্যই আসরানির সাহায্য করেছিলেন। আসরানিই জয়াকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করান পরিচালকের সঙ্গে। পরবর্তীতে দুজনেই একই ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম ছবি গুড্ডিতে আসরানির অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নেয়। ছবিটি সাফল্যের মুখ দেখে, আর সেই সঙ্গেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। বলিউডে এক নতুন মুখের জন্ম যার নাম গোবর্ধন আসরানি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাবার্চি, নমক হারাম, চুপকে চুপকে, অভিমান, চলা মুরারি হিরো বননে, পতি পত্নী ঔর ওহ, খুন পসিনা, আমদাবাদ নো রিকশাওয়ালো, একের পর এক ছবিতে তাঁর অভিনয় মানুষকে হাসিয়েছে, ছুঁয়েছে, মুগ্ধ করেছে। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র নিঃসন্দেহে শোলে-র সেই হাস্যকর স্মরণীয় জেলারের ভূমিকাটি। সংলাপ, মুখভঙ্গি আর টাইমিং, সব মিলিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এক অবিস্মরণীয় চরিত্র, যা আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

আমার কাছে অলক্ষ্মী একটা শব্দমাত্র মানুষ নয়, নেগেটিভিটিকে সরিয়ে পজেটিভিটির গৃহপ্রবেশ: মনামী

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি পরিচালনা করেছেন ছটি চলচ্চিত্র। শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে ২০০৩ সালের কমেডি ছবি নন স্টপ ধামাল-এ। তাঁর সাফল্যের পিছনে ছিলেন স্ত্রী, অভিনেত্রী মঞ্জু আসরানি। সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এক যুগের হাসির নায়ক, বলিউডের প্রিয় মুখ আসরানির প্রয়াণে চলচ্চিত্র জগত হারাল এক অনন্য প্রতিভাকে।

actor death news