ভাট পরিবারের প্রথম অভিনেত্রী, ইমরানের সঙ্গে কী সম্পর্ক তাঁর? চলে গেলেন আলঝেইমারে..

মেহেরবানো মোহাম্মদ আলী নামে জন্ম নেন পূর্ণিমা। তিনি ছিলেন লখনউয়ের এক মুসলিম পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা রাম শেশাদ্রি আয়াঙ্গার হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন...

মেহেরবানো মোহাম্মদ আলী নামে জন্ম নেন পূর্ণিমা। তিনি ছিলেন লখনউয়ের এক মুসলিম পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা রাম শেশাদ্রি আয়াঙ্গার হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
imran

ইমরানের সঙ্গে কী সম্পর্ক এই অভিনেত্রীর?

Poornima Das-Emraan Hashmi: চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট, সম্প্রতি তাঁর ১৯৯৮ সালের ক্লাসিক ছবি জখ্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, কীভাবে সেই ছবির থিম, তাঁর নিজের আন্তঃধর্মীয় শৈশবকে প্রতিফলিত করে। তাঁর বাবা ছিলেন ব্রাহ্মণ, আর মা শিরিন ছিলেন শিয়া মুসলিম। তবে খুব কম মানুষই জানেন, শিরিনের ছোট বোনই ছিলেন ভাট পরিবারের প্রথম তারকা- অভিনেত্রী পূর্ণিমা দাস ভার্মা।

Advertisment

১৯৩৪ সালে মেহেরবানো মোহাম্মদ আলী নামে জন্ম নেন পূর্ণিমা। তিনি ছিলেন লখনউয়ের এক মুসলিম পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা রাম শেশাদ্রি আয়াঙ্গার হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, মনমোহন দেশাইয়ের বাবা কিকুভাই দেশাইয়ের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।

Shubhashree Ganguly-Yaalini: মন দিয়ে প্রদীপ জ্বালাচ্ছে ইয়ালিনি, শুভশ্রী কন্যা মন মাতালেন সবার

Advertisment

চলচ্চিত্র নির্মাতা রমন বি. দেশাই ১৯৪৮ সালে তাঁর প্রথম ছবি রাধে শ্যাম–এ মেহেরবানোকেই নতুন নাম দেন - পূর্ণিমা। এরপর থেকেই শুরু হয় তাঁর সোনালি যাত্রা। পতঙ্গ (১৯৪৯), যোগন (১৯৫০), সাগাই (১৯৫১), বাদল (১৯৫১), এবং গুরু দত্তের জল (১৯৫২)– এর মতো ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। মধুবালা, দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, নার্গিস, প্রেম নাথ, ও গীতা বালির মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করেন তিনি।

অভিনেত্রী পূর্ণিমা

প্রথমে সাংবাদিক সৈয়দ শওকত হাশমির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর, যিনি দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান। জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে পূর্ণিমা আবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফেরেন। তাঁদের একমাত্র সন্তান আনোয়ার হাশমি, পরে বাহারোঁ কি মঞ্জিল (১৯৬৮)-তে ফরিদা জালালের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।

৩ সন্তানের বাবা-কে বিয়ে, পরস্ত্রী তকমা পেলেন অভিনেত্রী! এত সাফল্যের পরও...

এরপর পূর্ণিমা ১৯৫৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা ভগবান দাস ভার্মার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় 'ঔরত' ছবির সেটে। তাঁদের প্রেম শুরু হয় সেখান থেকেই। কিন্তু আর্থিক সংকটে পড়ে তাঁকে একসময় নিজের বাংলো বিক্রি করতে হয়। নতুনভাবে জীবন শুরু করে পূর্ণিমা আবার ফিরে আসেন চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে। হামজোলি (১৯৭০), বানফুল (১৯৭১), গঙ্গা কি সৌগন্ধ (১৯৭৮), ইনকিলাব (১৯৮৪), এবং হাম সে বদকর কৌন (১৯৮১)-এর মতো ছবিতে তাঁকে দেখা যায়।

তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল জঞ্জির (১৯৭৩)-এ অমিতাভ বচ্চনের মা সুমিত্রা চরিত্রে, এবং ভাগ্নে মহেশ ভাটের ছবি নাম (১৯৮৬)-এ সঞ্জয় দত্তের ঠাকুমার চরিত্রে। জীবনের শেষ পর্বে আলঝেইমারে আক্রান্ত হয়ে তিনি অভিনয় থেকে সরে যান। ২০১৩ সালে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Ahana Dutta-Kali Puja: 'শব্দটা কমুক এবার ', কালীপুজোয় মেয়ে মীরাকে নিয়ে সচেতনতার বার্তা অহনার..

তাঁর মৃত্যুর পর মহেশ ভাট X (টুইটার)-এ লেখেন, “আমার মাসি পূর্ণিমা- আমাদের পরিবারের প্রথম তারকা, আর ইমরান হাশমির ঠাকুমা- জীবনের সূর্যাস্তে পা রেখেছেন।” পূর্ণিমার ছেলে আনোয়ার বড় তারকা হতে না পারলেও, তাঁর নাতি ইমরান হাশমি সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করেন। আজ তাঁর উত্তরাধিকার বহন করছেন মহেশ ভাট, সোনি রাজদান, পূজা ভাট, এবং আলিয়া ভাট। 

Emraan Hashmi Entertainment News Today