প্রবীণ অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক পুরনো চিকিৎসা-পদ্ধতির অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে অনলাইন ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েন। তিনি জানান, কয়েক দশক আগে একবার পা ভেঙে যাওয়ার পর সুস্থ হওয়ার জন্য নিজের প্রস্রাব পান করেছিলেন। এই মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রচণ্ড সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই তাঁর এই কাজকে "বিপজ্জনক" বলে অভিহিত করেন এবং মজাও করতে থাকেন।
সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরেশ রাওয়াল জানালেন, “আমি তো অন্য কাউকে দিইনি, তাই না? নাকি আমি কারও সামনে অফার করেছিলাম? তাহলে ওদের সমস্যা কী? তারা ভাবছে কি না, ‘আরেহ! এ তো একা খেয়ে গেল, আমাদের দিল না। তিনি আরও বলেন, “এটা তো ৪০ বছর আগের ঘটনা। আমি হঠাৎ বলে ফেলেছি এখন, তাতে এমন কী হয়েছে! মানুষ আজকাল তিলকে তাল করে আনন্দ পায়। করতে দাও মজা।”
Riddhi Sen-Mamata Shankar: স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতর্কে মমতাকে জোরাল আক্রমণ ঋদ্ধির, টেনে আনলেন পরিবারকেও..
কেন করেছিলেন প্রস্রাব পান? জানালেন বিস্তারিত কারণ
পরেশ রাওয়াল জানান, সেই সময় তিনি মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই ফাইট মাস্টার বীরু দেবগন তাঁকে দেখতেও আসেন। পরেশ বলেন, “তিনি আমার চোটের কথা শুনে আমাকে বলেছিলেন, সকালে উঠে প্রথম নিজের প্রস্রাব পান করতে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন, নিরাময়ের সময় যেন আমি অ্যালকোহল, লাল মাংস ও ধূমপান থেকে দূরে থাকি।”
পরেশ রাওয়াল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টি তিনি সিরিয়াসলি নেবেন। “আমি ভাবলাম, এটা একবারে খাব না। চুমুক দিয়ে, বিয়ারের মতো খাব। আমি ১৫ দিন এটা করেছি। এরপর এক্স-রেতে ডাক্তার এমন উন্নতি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এই সিমেন্টিং হলো কীভাবে?’ একধরনের সাদা রেখা তৈরি হচ্ছিল। যেখানে আমার সাড়ে ২ মাস পর ছাড়ার কথা ছিল, সেখানে আমি দেড় মাসেই ছাড়া পেয়ে যাই। আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল যেন ম্যাজিক।”
Pratyusha Banerjee: 'ওর বাবাই ওকে মদ খাওয়াত', প্রয়াত বাঙালি অভিনেত্র…
অক্ষয় কুমারকে ‘বন্ধু নয়, সহকর্মী’ বলা নিয়েও যা জানালেন। একই সাক্ষাৎকারে, পরেশ রাওয়াল তাঁর এক পুরনো মন্তব্যেরও ব্যাখ্যা দেন যেখানে তিনি বলেছিলেন, অক্ষয় কুমার তাঁর বন্ধু নন, বরং একজন সহকর্মী। তিনি বলেন, “বন্ধুত্ব মানে তো এমন কেউ, যার সঙ্গে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার কথা বলেন, দেখা করেন। আমি বা অক্ষয়, কেউই তেমন সামাজিক নই। তাই স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কটা কর্মক্ষেত্র-কেন্দ্রিক। আর এটাকে ঘিরে অনেকে বলছে, ‘কী হয়েছে আপনাদের মধ্যে?' আসলে কিছুই হয়নি!”