দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতা সং ইয়ং-কিউ, যিনি ২০১৯ সালের ব্লকবাস্টার কমেডি 'Extreme Job'-এ চিফ চোই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন, সোমবার সিউলের দক্ষিণে ইয়োঙ্গিন শহরের চিওন-গু এলাকায়, একটি পার্ক করা গাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫৫ বছর।
আন্দাজ করা হচ্ছে, সং- মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর, মামলার কারণে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে, তাকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে দেখা যায়, যার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়। যদিও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবু মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার মতো, কঠোর সামাজিক মূল্যবোধের সমাজে DUI-কে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। এর প্রভাবও ছিল যথেষ্ট। সং ইয়ং-কিউকে Shakespeare in Love-এর মঞ্চ নাটক, ENA-এর The Defects এবং SBS-এর The Winning Try থেকে সরে দাঁড়াতে হয় সেই অভিযোগে। এই ঘটনাগুলো তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। জানা গেছে, সোমবার এক পরিচিত ব্যক্তি পার্ক করা গাড়ির ভেতরে সংকে অচেতন অবস্থায় খুঁজে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনও অপরাধের প্রমাণ মেলেনি এবং সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি।
Ranjhanaa-Dhanush: ভয়ঙ্কর আপত্তি ছিল ধনুশের, 'রাঁঝনার' ক্লাইম্যাক্স পাল্টে যেতেই তেড়েফুঁড়ে উঠলেন অভিনেতা
সং-এর মৃত্যুর পর বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনি DUI ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিডিয়া ও অনলাইন মন্তব্যগুলির কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। Koreaboo সূত্র অনুযায়ী, "তিনি বিদ্বেষপূর্ণ আর্টিকেল ও মন্তব্য দেখে ভীষণভাবে ব্যথিত ছিলেন এবং সেই সময় পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছিল।"
সং ইয়ং-কিউ কে ছিলেন?
সং ইয়ং-কিউ ১৯৯৪ সালে শিশুদের জন্য নির্মিত সংগীতনাট্য 'Wizard Mureul'- দিয়ে তার অভিনয়জীবনের সূচনা করেন। তার ক্যারিয়ার থিয়েটার, সিনেমা এবং টেলিভিশনে সমানভাবে বিস্তৃত। যদিও 'এক্সট্রিম জব' ছবির মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি Hyena, Trick, Baseball Girl, এবং Stove League-এর মতো জনপ্রিয় প্রজেক্টেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/2025/08/Song-Young-kyu-dead-16900-175210.jpg?w=640)
Pori Moni: দত্তক মেয়েটার খোঁজ নেই? কোলের সন্তানকে নিয়ে ব্যবসা করছেন পরীমণি! দিলেন বড় আপডেট...
সং ইয়ং-কিউর হঠাৎ মৃত্যু দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন জগতে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। শিল্পী হিসেবে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে তার প্রস্থানের পেছনের যন্ত্রণা ও সামাজিক চাপও এক কঠিন বাস্তবতাকে সামনে এনে দিয়েছে।