অভিনেত্রী কল্কি কোচলিন সম্প্রতি এক আন্তরিক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত, বিবাহবিচ্ছেদ এবং শৈশবের পারিবারিক অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি জানান, তার বাবা-মায়ের ‘কদর্য’ বিচ্ছেদ তার মানসিক গঠনে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং সম্ভবত এটাই তার নিজের বৈবাহিক জীবনের ভাঙনের অন্যতম কারণ।
২০১১ সালে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন কল্কি, তবে ২০১৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এই সম্পর্ক ভাঙনের প্রসঙ্গে কল্কি বলেন, "আমার যখন ১৩ বছর বয়স, তখন আমার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। সেটি ছিল খুবই কঠিন সময়। তারা একে অপরের প্রতি অত্যন্ত তিক্ত হয়ে উঠেছিলেন। তাদের সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল শীতল এবং অর্থহীন।"
Riddhi Sen-Mamata Shankar: স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতর্কে মমতাকে জোরাল আক্রমণ ঋদ্ধির, টেনে আনলেন পরিবারকেও..
তিনি জানান, ওই অভিজ্ঞতা তার ভিতরে একটি ‘সম্পর্কবিরোধী ভয়’ তৈরি করে। কল্কির মতে, ছোটবেলার সেই পরিবেশ তাকে শিখিয়েছে সম্পর্ক মানেই টানাপড়েন, ভাঙন, এবং যন্ত্রণার দিকে এগিয়ে যাওয়া। “যখন কোনও সম্পর্কে সমস্যা শুরু হয়, তখন মন বলে, ‘এই তো, এটা স্বাভাবিক’, কারণ আমি সেটাই দেখেছি ছোটবেলায়। একটা ভেঙে পড়া সম্পর্ক। তবে তিনি, সময়ের সঙ্গে থেরাপি ও আত্মচেতনার মাধ্যমে তিনি সেই মানসিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। নিজের জীবনের ঘটনাগুলিকে নতুন চোখে দেখতে শিখেছেন।
Iman Chakraborty: স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রসঙ্গে ফের বিতর্কে মমতা শঙ্কর, পাল্টা ইমন বললেন, 'গা গোলাচ্ছে..'
অনুরাগের সঙ্গে সম্পর্ক এবং পরে দূরত্ব
বিচ্ছেদের পর অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্কের ধরণ নিয়েও তিনি খোলাখুলি জানান। “প্রথম কয়েক বছর সহজ ছিল না,” স্বীকার করেন কল্কি। “এক সময় এমনও হয়েছিল যখন মনে হয়েছিল একে অপরের জীবন থেকে দূরে থাকা দরকার, কারণ অন্য কাউকে তার সঙ্গে দেখা এতটাই বেদনাদায়ক ছিল। তবে সময় ধীরে ধীরে ক্ষত সারিয়ে তোলে। দূরত্ব আমাদের সাহায্য করেছে। এখন আমরা ভালো জায়গায় আছি। মাঝে মাঝে কথা হয়।” গত বছর অনুরাগের মেয়ে আলিয়া কাশ্যপের বিয়েতে কল্কিকে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
যন্ত্রণার মধ্যেও আত্মজ্ঞান
কল্কি কেবল নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, তার মধ্য দিয়ে একজন মানুষের অভ্যন্তরীণ যাত্রার চিত্র তুলে ধরেছেন। কীভাবে এক বিষাক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা পরবর্তী জীবনের সম্পর্কগুলোকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে, আর কীভাবে থেরাপি ও আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে তা কাটিয়ে ওঠা যায়। তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল, যখন বিশ্বাস করতাম ভালোবাসা মানেই কষ্ট। কিন্তু এখন জানি, ভালোবাসা মানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে জানার চেষ্টা।”