জি বাংলা-য় আসছে নতুন ধারাবাহিক 'ক্ষীরের পুতুল'। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনেই যে তৈরি হবে ধারাবাহিকটি, তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক প্রোমো-তে। এই ধারাবাহিকে দুয়োরানির ভূমিকায় দেখা যাবে সুদীপ্তা রায়-কে। 'আদরিণী'-র পরে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার ফিরছেন রূপকথার দুয়োরানি হয়ে।
বাংলা টেলিপর্দায় বেশ কিছু রূপকথার গল্প দেখেছেন দর্শক কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপকথাগুলি বাংলার অন্যান্য লোকমুখে প্রচলিত গল্পের থেকে একেবারেই আলাদা। অবন ঠাকুর ছবি লিখতেন আর সেই ছবি যে পাঠক একবার দেখেছেন, তিনি আজীবন সেই ছবির মায়া থেকে বেরোতে অপারগ।
আরও পড়ুন: ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ও ‘চুনি পান্না’-র দর্শকের জন্য সুখবর
সত্যি বলতে কী, অবনীন্দ্রনাথের সেই চিত্রকল্পকে পর্দায় আনা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু জি বাংলা-র এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। এযাবৎ টেলিপর্দার রূপকথার গল্পগুলিতে যে ধরনের গ্রাফিক্স দেখেছেন দর্শক, তার থেকে খানিকটা আলাদা কিছু পেতে পারেন দর্শক এই ধারাবাহিকে। কারণ এখানে খ্রিডি অ্যানিমেশন ব্যবহৃত হবে--
যাঁরা গল্পটি পড়েছেন, তাঁরা জানেন যে এই গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কিন্তু ওই বাঁদর। উপরের প্রোমোতে যে বাঁদরটি দেখা গিয়েছে তা থ্রিডি অ্যানিমেশনে তৈরি এবং অ্যানিমেশনের মানও বেশ ভাল। তাই আশা করা যায়, ধারাবাহিকটি দৃষ্টিনন্দন হবে। গল্পে ষষ্ঠীঠাকুরের বাহনদের যে বর্ণনা রয়েছে, সম্ভবত সেগুলিও থ্রিডি অ্যানিমেশন দিয়েই তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: স্টার জলসা-তেও কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক! এবার লড়াই দুই চ্যানেলে
'ক্ষীরের পুতুল' গল্পটি কিন্তু খুব বেশি বড় নয়। তাই অনেক কিছু সংযোজন ঘটবে। অনেক চরিত্র তৈরি করতে হবে চিত্রনাট্যকারদের। তবে গল্পটি ছোট হলেও এখানে নতুন নতুন ট্র্যাক আনার সুবিধেটা লেখক নিজেই করে দিয়েছেন। সুয়োরানির জন্য উপহার কিনতে রাজা যে যে দেশে গিয়েছিল, তার প্রত্যেকটি নিয়ে ধারাবাহিকে এক একটি ট্র্যাক থাকবে।
তেমনই ষষ্ঠীঠাকুরের বরে বাঁদর যখন কমলাপুলির দেশে পা রাখবে, যেখানে লোকমুখে ফেরা বাংলার সমস্ত ছড়ার চরিত্রদের বাস, সেই অধ্যায়ের ট্র্যাকটিও বেশ লম্বা হবে বলেই ধারণা। কমলাপুলির দেশ অবশ্য আসবে গল্পের শেষের দিকে। সুদীপ্তা রায়কে দুয়োরানির চরিত্রে বেশ ভালই মানিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা রাজা ও সুয়োরানির মুখদর্শনের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন