Ahona Dutta: বাংলা ধারাবাহিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ অহনা দত্ত। অনুরাগের ছোঁয়া, এই মেগার সৌজন্য দর্শকমহলে তিনি মিশকা সেন নামেই বেশি পরিচিত। এই মুহূর্তে প্রেগন্যান্সির প্রতিটি মুহূর্ত একেবারে চেটেপুটে উপভোগ করছেন। জীবনের যে ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে পারেননি এখন সেই সাধপূরণে ব্যস্ত অভিনেত্রী। সেগুলোর মধ্যে একটি মেহেন্দি। বৃহস্পতিবার মেহেন্দি পড়ার সেই মুহূর্তটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অহনা। অগাস্টে ডিউ ডেট অভিনেত্রীর। তার আগে মেহেন্দি, বাড়িতে বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান? খোঁজ নিতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় মম টু বি অহনা দত্ত-র সঙ্গে।
তিনি বলেন, 'রবিবার আমার ননদের বাড়িতে সাধের অনুষ্ঠান। সাধ বিষয়টা নিয়ে আমার অত মাতামাতি নেই। কিন্তু, দিদি আমাকে খাওয়াতে চেয়েছে। সকলে একসঙ্গে যাব, খাওয়াদাওয়া করব। মজা-আনন্দ হবে। আর মেহেন্দিটা শখ করে পরেছি। আমি তো কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছি। তাই কখনও মেহেন্দি পরতে পারিনি। তারপর অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। তখনও সম্ভব হয়নি। এখন আমি সেই শখগুলো পূরণ করে নিচ্ছি। মেহেন্দি আমার খুব ভাল লাগে। তবে থিমটা এখনই বলব না, ওটা পরে একটা ভিডিওর মাধ্যমে সকলের সঙ্গে শেয়ার করব।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় অহনা। ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। ভোরবেলা গর্ভস্থ সন্তানের 'কিক' যেমন এনজয় করছেন তেমনই বাড়িতে বরমশাই আর শ্বশুরের সঙ্গেও সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। দোসর অহনার দুই পোষ্য। অন্তঃসত্ত্বা অহনাকে খুশি রাখতে কোনও ত্রুটি রাখছেন না তাঁরা। কখনও দীপঙ্কর বানিয়ে ফেলছেন বিরিয়ানি তো কখনও আবার অহনা তাঁর মনের মানুষের জন্য বানাচ্ছেন মটন ভুনা। জামাইষষ্ঠীর দিন নিজের হাতে রেঁধে দীপঙ্করকে খাইয়েছেন অভিনেত্রী। মন ফুরফুরে থাকতে বরের সঙ্গে যাচ্ছেন মর্নিংয়াকে। কখনও আবার ইচ্ছে হলে চলে যাচ্ছেন রেস্তোরাঁয়। তাঁর জন্য পছন্দের খাবারও পাঠিয়ে দিচ্ছেন প্রিয়জনেরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনুরাগের ছোঁয়ার স্বস্তিকা।
এখন তো সময়ের অপেক্ষা। কবে দুই থেকে তিন হবেন অহনা-দীপঙ্কর। তার আগে হবু মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ছোট্ট অহনা নাকি ছোট্ট দীপঙ্কর, কাকে চাই? মম টু বি অহনা দত্ত বলেছিলেন, 'আমার তো যমজ সন্তানের শখ ছিল। এমনও ইচ্ছে ছিল যে আমার তিন-চারটে সন্তান হোক (ফোনের ওপারে প্রাণখোলা হাসি)। আটটা সন্তান একসঙ্গে হলেও মন্দ হত না। একটা তো চাই-ই নি। কিন্তু, ভাগ্যক্রমে একটাই সন্তান আপাতত ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায়। আমি জীবনে অনেক চারপেয় সামলেছি। ওরা তো ভাষা বোঝে না। কিন্তু, মানুষের বাচ্চা তো ভাষা বোঝে। তাই ওদের মানুষ করাটা অনেক সহজ। আসলে বাচ্চা আমার খুব ভাল লাগে। যাই হোক, একটা হেলদি সন্তান কাম্য। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। শুধু চাই, যেই আসুক সে যেন ওর বাবার মতো স্বভাবটা পায়।'
আরও পড়ুন আমি তো চেয়েছিলাম একসঙ্গে আটটি সন্তান হোক, কিন্তু ভাগ্যক্রমে একটাই হবে: অহনা দত্ত