/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024/12/18/2024-12-18t155945930z-whatsapp-image-2024-12-15-at-102343-am.jpeg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/11/3VuhVQKM3Jv8tjAcoARr.jpg)
ফ্যাট ঝড়ানোর কোনও ভাবনাচিন্তাই করি না: অহনা
১১ মে মাদার্স ডে, এই দিনটা এবার আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
এবারের মাদার্স ডে-টা সত্যিই আলাদা। অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে। এতবছর যেটা হয়নি এবার সেটা হচ্ছে। আমাকেও সবাই 'হ্যাপি মাদার্স ডে' বলছে। সারাদিনে হয়ত আরও শুভেচ্ছা পাব।
শরীরের ভিতর ছোট্ট প্রাণটা বেড়ে উঠছে। প্রথমবার মা হওয়ার অনুভূতিটা কেমন?
এটা সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা অনুভূতি। পেটের ভিতর যখন নড়ে উঠছে, হাত-পা ছুঁড়ছে তখন যে অনুভূতিটা হয় সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
প্রেগন্যান্সি ক্রেভিংয়ে কী খেতে ইচ্ছে করছে?
মাঝে মাঝে যখন শরীরটা খারাপ থাকে তখন তো কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। আবার মাঝে মাঝে অনেক কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হয়। সবটাই মুডের উপর নির্ভর করে। রোল-চাউমিন বা ফুচকা আমি খুব একটা খাই না। ইচ্ছে হলে ভাল রেস্তোরাঁয় গিয়ে হেলদি খাবার কিছু খাই।
প্রেগন্যান্সির এই অবসরযাপনটা কেমন লাগছে?
মন্দ লাগছে না। পোষ্যদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। অনেক সিনেমা-সিরিজ দেখছি। যখন শরীর ভাল থাকছে টুকটাক ঘুরতে যাচ্ছি। এভাবেই দিব্যি কাটছে।
পার্টনার বাড়তি খেয়াল রাখছে?
আমরা তো তিন বছর একসঙ্গে আছি। সবসময়ই আমার খেয়াল রাখে। এখন আরও বেশি রাখছে। আমার সব চাহিদাই পূরণ করে। মুখ ফুটে বলার আগেই পছন্দের জিনিস এনে দেয়।
ঘুমানোর সময় যখন বেবি কিক করছে সেই মুহূর্তটা কখনও একসঙ্গে অনুভব করেছেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা দুজনেই এই প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডটা ভীষণ আনন্দের সঙ্গে কাটাচ্ছি। ভগবানের আশীর্বাদে আমার হবু সন্তানের হাত-পা বেশ স্ট্রং। যখন ছুঁড়ছে মাঝে মাঝে আমিও নড়ে উঠছি। আমার বেবি যে স্ট্রং সেটা ভেবেও খুব ভাল লাগছে।
মাতৃত্বকালীন অবস্থায় শরীরে মেদ জমে। চেহারার এই পরিবর্তন নিয়ে মন খারাপ হয়?
আমার তো মনে হয় এখন আমি আরও সুন্দর, আরও আকর্ষণীয়। এই গোলুমোলু চেহারাটা যদি সবসময় ধরে রাখতে পারতাম তাহলে ভীষণ ভাল হত। আমাকে এখন যেই দেখছে সেই বলছে আমি নাকি আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি গ্লো করছি। নিজেও বুঝতে পারছি আমার স্কিন এখন অনেক উজ্জ্বল। এখন যেরকম আছি সেটা জীবনের একটা অধ্যায়। নতুন অনুভূতি। চেহারার পরিবর্তন নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। ভবিষ্যতে চরিত্রের প্রয়োজনে যদি কখনও রোগা হতে হয় তখন তো হতেই হবে। এখন ফ্যাট ঝড়ানোর কোনও ভাবনাচিন্তাই করি না।
দুজনেই চাকুরিজীবী, সন্তানের ভবিষ্যৎ-লালনপালন নিয়ে কী প্ল্যানিং?
যেভাবে প্রতিটি ওয়ার্কিং পেরেন্টস তাঁদের সন্তানকে বড় করে আমাদেরও সেইভাবে করতে হবে। দুজনের কাছেই পরিবার গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে অর্থও প্রয়োজন। সন্তানকে মানুষক করতে তো টাকা দরকার সেটার জন্য তো কাজ করতেই হবে। আশা করি আমরা ঠিক ম্যানেজ করতে পারব। কখনও আমি ছুটি নেব কখনও ও নেবে, এভাবেই ঠিক হয়ে যাবে।
ডেলিভারির পর কবে কাজে ফেরার প্ল্যানিং রয়েছে?
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজে ফিরব। খুব বেশিদিন ছুটি নিয়ে বাড়ি বসে থাকতে ভাল লাগে না।
প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে সাধ খাওয়া বা অন্য রীতিগুলো মিস করছেন?
সাধ খেতেই হবে এটা আমি একদমই মানি না। আমার মতে সাধ তো সেই রীতি যেখানে হবু মায়ের পছন্দের খাবার তাঁকে দেওয়া হয়। আমি তো রোজই পছন্দের খাবারগুলো খাচ্ছি। সেই হিসেবে তো প্রতিদিনই আমার সাধ হচ্ছে। আলাদা করে আর সাধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
মা-শাশুড়ির অভাবটা এখন আরও প্রকট হচ্ছে?
শাশুড়ি মায়ের অভাবটা সত্যিই ভীষণ অনুভব করছি। যিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁকে সত্যিই খুব দরকার ছিল। কিন্তু, যিনি আছেন তাঁর কিছু মন্তব্য আমাকে এতটাই ব্যথা দিয়েছে যে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই।
ছোট্ট অহনা নাকি ছোট্ট দীপঙ্কর, কাকে চাই?
আমার তো যমজ সন্তানের শখ ছিল। এমনও ইচ্ছে ছিল যে আমার তিন-চারটে সন্তান হোক (ফোনের ওপারে প্রাণখোলা হাসি)। আটটা সন্তান একসঙ্গে হলেও মন্দ হত না। একটা তো চাই-ই নি। কিন্তু, ভাগ্যক্রমে একটাই সন্তান আপাতত ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায়। আমি জীবনে অনেক চারপেয় সামলেছি। ওরা তো ভাষা বোঝে না। কিন্তু, মানুষের বাচ্চা তো ভাষা বোঝে। তাই ওদের মানুষ করাটা অনেক সহজ। আসলে বাচ্চা আমার খুব ভাল লাগে। যাই হোক, একটা হেলদি সন্তান কাম্য। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। শুধু চাই, যেই আসুক সে যেন ওর বাবার মতো স্বভাবটা পায়।
মা হিসেবে ভবিষ্যতে সন্তানের পছন্দকে প্রাধান্য দেবেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই। ও যেটায় ভাল থাকবে আমিও সেটাতেই খুশি হব। যার সঙ্গে ও সুখী হবে তাকে আমি মন থেকে আশীর্বাদ করব। আমার মতো কষ্ট কোনওদিন ওকে পেত দেব না।
'সন্তান' সিনেমায় অভিনয়ের পরই কোলে সন্তান আসছে...
আমি তো অনেকরকম ইক্যুয়েশই করছিলাম (হাসি)। কিন্নতু, কোনওটার সঙ্গেই কোনটা মেলাতে পারছিলাম না। আসলে সবটাই ভগবানের আশীর্বাদ।
আরও পড়ুন 'নেতাজির এক-একটি দৃশ্যে শট দেওয়ার সময় চোখে জল চলে আসত', স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন বাসবদত্তা