/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/10/cats-2025-09-10-11-05-44.jpg)
আদালতে বচ্চন বধূ
Aishwarya Rai Bachchan-AI images- publicity rights: লাইমলাইট থেকে একপ্রকার দূরেই আছেন। হাতে গোনা দু-একটি ছবিতে কাজ করেন। তিনি নান আদার দ্যান বচ্চন বধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। পেজ ৩-এর খবরে ব্যক্তিগতজীবনকে প্রাধান্য দিতেও খুব একটা পছন্দ করেন না রাই সুন্দরী। কিন্তু, এই মুহূর্তে তাঁর অজান্তেই ঘটে গিয়েছে মারাত্মক ঘটনা। ঐশ্বর্যর অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহূত হচ্ছে তাঁর ছবি। 'পাবলিক ফিগার'-এর সুযোগ নিয়ে ঐশ্বর্যর ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। কোনওভাবেই যেন তাঁর ব্যক্তিগত ছবি পণ্য ব্যবহারের স্বার্থে কোনও ওয়েবসাইটে অপপ্রচার না করা হয় সেই আবেদনই করেছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
অভিনেত্রীর দায়ের করা পিটিশন মূলত aishwaryaworld.com এবং আরও কয়েকজন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেলিব্রিটিদের পরিচয় অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে প্রতারণা করা হচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হলেও আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিচারপতি তেজস কারিয়া জানিয়েছেন, লিখিত আদেশ জারি করা হবে যাতে ঐশ্বর্যর ব্যক্তিগ অধিকার কোনওভাবেই লঙ্ঘন না করা হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৫১টি ইউআরএল (URL) চিহ্নিত হয়েছে সেগুলি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন 'দরজা খুলেই ওরা দুজন এক ঝাঁপে...', পুরস্কার হাতে বাড়ি ফিরেই কী ঘটল পরি মণির সঙ্গে?
ঐশ্বর্যর আবেদনে ওয়েবসাইট ব্লক করার নির্দেশ, অবৈধ লিঙ্ক সরানো এবং গুগল ও ইউটিউবের মতো ইন্টারমিডিয়ারিদের কাছে বেআইনি কনটেন্ট মুছে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অভিনেত্রীর দাবি, ভবিষ্যতেও যেন আর কখনও অজ্ঞাত পরিচয় কোনও ওয়েবসাইট বা ইন্টারমিডিয়ারিরা বেআইনি কনটেন্ট তৈরি করতে না পারে। ঐশ্বর্যার আইনজীবী সন্দীপ সেঠি আদালতে জানান, aishwaryaworld.com-এ অনুমতি ছাড়া অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য, প্রকাশ করেছে এবং এমনকি তাঁর ছবি দেওয়া টি-শার্ট (মূল্য ৩,১০০ টাকা পর্যন্ত) ও মগ বিক্রি করছে। যা তাঁর অনুমোদিত ব্র্যান্ড হিসেবে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে। সেঠি আরও জানান, ঐশ্বর্যার ছবি ব্যবহার করে প্রতারণামূলক প্রকল্পও চালানো হয়েছে।
এছাড়াও তাঁর ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো চ্যাট, বিকৃত ও এআই-দ্বারা তৈরি অশ্লীল কনটেন্টের প্রচার করা হচ্ছে। আদালতে এ সংক্রান্ত স্ক্রিনশটও জমা দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, এ ধরনের ডিপফেক সেলিব্রিটিদের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। যা তাঁদের গোপনীয়তা, সুনাম ও আর্থিক ক্ষতির কারণ। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর ও জ্যাকি শ্রফকেও সুরক্ষা প্রদান করেছে। আদালতের কড়া নির্দেশ, সেলিব্রিটিদের নাম, কণ্ঠস্বর ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো ব্যক্তিত্ব অধিকারের অংশ যা সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে মর্যাদা ও গোপনীয়তার অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
আরও বস্তিতে থেকে মাথা ভর্তি উকুন! প্রযোজকের স্ত্রী-অভিনেত্রীর কেন এমন দুর্দশা?