Bengali Actress: 'সৃজিত দা স্টেজে উঠে...', ছ'বছর পর কী ভাবে লহ গৌরাঙ্গ নাম রে-তে প্রত্যাবর্তন 'বিষ্ণুপ্রিয়া' অলকানন্দার?

Alokananda Guha: মহাপ্রভু চৈতন্যে কাজের মাঝেই বিষ্ণুপ্রিয়া চরিত্র থেকে বাদ পড়েছিলেন। ছ'বছর পর সেই অপেক্ষার অবসান। সৃজিতের হাত ধরে প্রত্যাবর্তন বিষ্ণুপ্রিয়া অলকানন্দার

Alokananda Guha: মহাপ্রভু চৈতন্যে কাজের মাঝেই বিষ্ণুপ্রিয়া চরিত্র থেকে বাদ পড়েছিলেন। ছ'বছর পর সেই অপেক্ষার অবসান। সৃজিতের হাত ধরে প্রত্যাবর্তন বিষ্ণুপ্রিয়া অলকানন্দার

author-image
Kasturi Kundu
New Update
ছ'বছর পর বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে প্রত্যাবর্তন

ছ'বছর পর বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে প্রত্যাবর্তন

Alokananda Guha As Bishnupriya:আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য ধারাবাহিকে বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, মাঝ পথে আচমকাই মুখ বদল হয়ে যায়। সেই সময় তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে দিন কেটেছিল অলকানন্দার। অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। তবুও হাল ছেড়ে দেননি টেলি অভিনেত্রী অলকানন্দা। কেন তাঁকে হঠাৎ করে বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্র থেকে ছাটাই করা হল তার সদুত্তর আজও অমিল। তবে আজ থেকে ছ'বছর আগে রানা সরকার অলকানন্দাকে কথা দিয়েছিলেন ভবিষ্যৎ-এ কোনও দিন বড় পর্দায় বিষ্ণুপ্রিয়া চরিত্রে কাজের সুযোগ থাকলে তাঁকেই প্রস্তাব দেবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের আপকামিং মুভি লহ গৌরাঙ্গ নাম রে-তে বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে থাকছেন সেই অলকানন্দা গুহ। হয়ত বেশ কিছুটা সময় লেগেছে কিন্তু, সাধের চরিত্র ফিরে পেয়ে আবেগপ্রবণ অভিনেত্রী। একইসঙ্গে অপমানের যোগ্য জবাবও বটে। একেই হয়ত বলে, এক ঢিলে দুই পাখি বধ। 

Advertisment

সোশ্যাল মিডিয়ায় লুক শেয়ার করে অলকানন্দা রানা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও নিজের অনুভূতি জাহির করে একটি লম্বা পোস্ট শেয়ার করেছেন। অভিমানের বরফ যে খানিকটা গলেছে তা পোস্টেই স্পষ্ট। রানা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ, কষ্টের কথা সর্বপরি ছ'বছর আগের অলকানন্দাকে বাঁচিয়ে রাখার মতো বিষয়গুলো নিজস্ব ভাবনায় তুলে ধরেছেন। এক মজরে দেখে নিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অলকানন্দার লেখার মধ্যে কতটা যন্ত্রণা লুকিয়ে রয়েছে। সৃজিতের আগামী ছবিতে কাজের সুযোগ কী ভাবে পেলেন তা জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

অলকানন্দা বলেন, 'মহাপ্রভু চৈতন্যতে বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে কিছুদিন অভিনয় করেছিলাম। আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র ছিল। সেই সঙ্গে কেরিয়ারে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজের সুযোগ। কিন্তু, সিরিয়াল চলার মাঝেই আমাকে হঠাৎ করে সেই চরিত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। আমার খুব কাছের মানুষরাই জানত ওই সময়টা আমার জন্য কতটা কঠিন ছিল। অনেকরকম ভাবে হেনস্থা (হ্যারাসমেন্ট) হয়েছি, তবে সেটা কম্প্রোমাইজ নয়। তখন রানা দা আমাকে বলেছিল যেদিন বড় পর্দায় বিষ্ণুপ্রিয়াকে নিয়ে কাজ করব সেদিন তুই-ই এই চরিত্রে কাজ করবি। তখন ভেবেছিলাম হয়ত সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলছে। ভাবিনি ছ'বছর পর আমি সেই হারানো চরিত্রটা ফিরে পাব। এখনও মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি।'

Advertisment

সৃজিতের ছবিতে কাজের প্রস্তাব এল কী ভাবে? অভিনেত্রী জানান, 'একটি মিউজিক ভিডিও-র কাজে গিয়ে সৃজিত দার সঙ্গে প্রথম দেখা। সেটাও কাকতালীয়ভাবে। আমি যেখানে বসেছিলাম তার উলটো দিকের সোফায় এসে উনি বসেন। তখন সৃজিত দা রানা দাকে বললেন দেখো তো ওকে বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে মানায় কিনা। তখন রানা দা পুরনো সব ঘটনাটা বলল। পুরো ঘটনাটাই যেন স্বপ্নের মতো সাজানো মনে হচ্ছিল। এরপর একদিন একটা হোলির অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রনে গিয়েছিলাম। আমরা প্রতিবারই যাই। ওখানে গিয়ে দেখলাম লহ গৌরাঙ্গ নাম রে-র পোস্টার।এরপর আমাকে স্টেজে আমাকে ডাকা হয়। তারপর তো সৃজিত দা মাইকে ঘোষণা করলেন বিষ্ণুপ্রিয়ার চরিত্রে অলকানন্দা। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর লুক টেস্ট হয়েছে। যত সময় এগচ্ছে ততই মনে হচ্ছে আমি স্বপ্নের জগতে বাস করছি।'

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আপ্লুত অলকানন্দা। সেই সঙ্গে মারাত্মক টেনশনে রয়েছেন। কো-স্টার দিব্যজ্যোতি দত্ত-র সঙ্গে জয়ী সিরিয়াল থেকেই পরিচয়। আরাত্রিকার সঙ্গে আলাপ হয়ে ভাল লেগেছে অলকানন্দার। শুটিং শুরুর আগে বুক দুরুদুরু।  চরিত্রকে নিঁখুতভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন কিনা সেই ভাবনায় রাতের ঘুম উড়েছে অভিনেত্রীর।  

আরও পড়ুন বাৎসরিক মুক্তির আগে তারাপীঠে পুজো, সিঙ্গল স্ক্রিনের দুরাবস্থা নিয়ে কী মত সাংসাদ-অভিনেত্রী শতাব্দীর?

Srijit Mukherji Alokananda Guha