Satabdi Roy Batsorik: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে তাপস পাল সহ বাংলা ছবির খ্যাতনামা স্টারদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। কিন্তু, বর্তমানে রাজনীতির ময়দানের চরম ব্যস্ততার মাঝেই দিন কাটে। তিনি নান আদার দ্যান বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে বড় পর্দায় গ্র্যান্ড কামব্যাক। পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের হাত ধরেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় ফিরে আসা। সফর সঙ্গী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সৌজন্যে হরর ড্রামা 'বাৎসরিক'। ৬ জুন শুক্রবার মুক্তি পেল ছবিটি। তার আগে অর্থাৎ ৫ জুন বৃহস্পতিবার তারা মায়ের আশীর্বাদ নিতে বন্দে ভারতে চেপে তারাপীঠে পুজো দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক মৈনাক ভৌমিক সহ আরও অনেকেই।
পুজো দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শতাব্দী রায়। বর্তমানে কর্মাশিয়াল ছবির সংজ্ঞা কতটা বদলেছে, রাজনীতির ময়দান থেকে ফের রুপোলি দুনিয়ায় ক্যামবাকের আনন্দ-অনুভূতি সবটাই উজার করলেন সিনিয়ার স্টার শতাব্দী রায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের সময় কর্মাশিয়াল ছবি বলতে নাচ, গান, অ্যাকশন, গাড়ি উড়ে যাচ্ছে, হিরোর ২০ জনকে মেরে ফেলছে এগুলো তো এখন আর হয় না। রিয়ালিস্টিক ও অন্য ধরনের কনটেন্টের উপর ছবি তৈরি হচ্ছে। আজকের পরিচালকদের ভাবনায় যে ধরনের সিনেমা তৈরি হচ্ছে দর্শক সেটা দেখছে। এখন এটাই কর্মাশিয়াল ছবি।'
সিঙ্গল স্ক্রিনের চরম দুরাবস্থা। সেই বিষয়টিকে সমর্থন করে কী বললেন শতাব্দী রায়? অভিনেত্রীর স্পষ্ট ব্যখা, আজকের দিনে সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানে মাল্টিপ্লেক্সের রমারমা। সেই জায়গায় কেউ ইচ্ছে করলে সিঙ্গল স্ক্রিন খুলতেই পারেন কিন্তু, সেই ব্যবসায় সাফল্য আসাটা মুশকিল। চেন ওয়াইজ সম্পূর্ণ সিস্টেম বদলানো প্রয়োজন বলে মনে করেন শতাব্দী রায়।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের হাত ধরে রুপোলি পর্দায় গ্র্যান্ড কামব্যাক শতাব্দী রায়ের। বাৎসরিকের পোস্টার মুক্তির পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে ফ্লোরে ফেরার আনন্দ শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে আজকের প্রজন্মের কাজ, শিল্পীরা কতটা পরিণত সেই নিয়েও কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী। পড়ুন লিঙ্কে।
আরও পড়ুন আজও আমার কাছে শুটিং ফ্লোর প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়ার জায়গা, আবার যদি সুযোগ পাই সিনেমা করব: শতাব্দী