/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/lead-5.jpg)
ছবি: অমিতাভ বচ্চনের ফেসবুক পেজ থেকে
Amitabh Bachchan Surname: গত ২ অক্টোবর ছিল গান্ধী জয়ন্তী। 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'-তে সেই উপলক্ষে ছিল একটি বিশেষ এপিসোড আর সেখানেই ঘোষণা করলেন অমিতাভ যে বচ্চন পদবীর সঙ্গে কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কোনও যোগাযোগ নেই। কারণ এই পদবীটি তাঁদের পারিবারিক পদবী নয়। অমিতাভ জানান, তাঁর বাবা হরিবংশ রাই কোনও বিশেষ ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার বিরোধী ছিলেন। তাই এই অ-সাম্প্রদায়িক পদবীর উদ্ভাবন।
অমিতাভ ওই বিশেষ এপিসোডে বলেন, ''আমার পদবী বচ্চন কোনও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয় কারণ আমার বাবা এর বিরুদ্ধে ছিলেন। আমার পদবী ছিল শ্রীবাস্তব কিন্তু ওই পদবীতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমি খুব গর্বিত যে আমিই প্রথম বচ্চন পদবীটি বহন করেছি। যখন বাবা আমাকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে যান, তখন তাঁকে আমার পদবী জিজ্ঞাসা করা হয়। তখনই বাবা ঠিক করেন যে আমার পদবী হবে বচ্চন। সেনসাস দফতরের কর্মীরা যখন আমার বাড়িতে আসেন এবং আমার ধর্ম কি সেটা জানতে চান, আমি বলি যে আমার কোনও ধর্ম নেই, আমি একজন ভারতীয়।''
আরও পড়ুন: ‘দাদা সাহেব ফালকে’ পুরস্কারে সম্মানিত হবেন অমিতাভ, ঘোষণা কেন্দ্রের
অমিতাভ তাঁর বাবা, হিন্দি সাহিত্যের বিখ্যাত কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের আদর্শকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গেই বহন করে চলেছেন। পদবী যেহেতু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পরিচায়ক, তাই সেই পদবীকেই পরিত্যাগ করেছিলেন হরিবংশ রাই। গান্ধীজির মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হরিবংশ রাই মানুষকে রাখতেন সবার উপরে, তার পেশাকে নয়। উৎসবের দিনে বয়োঃজ্যেষ্ঠদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের ভারতীয় রীতিকে তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন কীভাবে, তা জানালেন অমিতাভ।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/2-3.jpg)
''আমার কোনও লজ্জা নেই বলতে যে আমার বাবা তাঁর চারপাশের সব মানুষকেই তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতেন। হোলির সময় বয়োঃজ্যেষ্ঠ মানুষের পায়ে আবির দিয়ে তাঁকে প্রণাম করা আমাদের ঐতিহ্য। আমার বাবা, হরিবংশ রাই বচ্চন হোলির উৎসব শুরু করার আগে বাড়ির জমাদারের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করতেন'', বলেন অমিতাভ।
আরও পড়ুন: দুই ভাগে ভাগ হবে অমিতাভের সম্পত্তি
এমন একটি বিরল ব্যক্তিত্বই অমিতাভ বচ্চনকে সারা জীবন অনুপ্রাণিত করেছেন। তাই তাঁর দেওয়া অ-সাম্প্রদায়িক এই পদবীটিই অমিতাভ ও তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম গর্বের সঙ্গে বহন করে চলেছে। শুধু তাই নয়, এই অ-সাম্প্রদায়িক ভারতীয় পদবীকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন। এর চেয়ে ভালো গান্ধী জয়ন্তীর উদযাপন আর কী হতে পারে।