আজ নববর্ষ, নতুন বাংলা বছরের শুরু। ১৪৩২ সকলের চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছে। ট্রোএকদের সকলেই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করছেন নানা কিছু বিষয়। কিন্তু, পুরোনো দিনের মানুষরা? তাঁরা কীভাবে নববর্ষ কাটাতেন? তখন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের মানুষরা একেবারেই অন্যরকম ছিলেন। তাঁরা যেমন রুপোলি পর্দার মানুষ ছিলেন, ঠিক সেরকমই ছিলেন ঘরোয়া। এমনকি, তখন ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে এই বিশেষ দিনে একটি কাজ হতো। এমনই এক কথা খোলসা করলেন, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা।
অভিনেত্রীর সিনেপাড়ার তৎকালীন নববর্ষ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন করা হয়েছিল। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নানা কথা জানালেন সেই প্রসঙ্গে। তিনি কী কী বললেন সেদিনের নববর্ষ প্রসঙ্গে?
এখন হালখাতা করতে যাও?
না! এখন যাই না। একেই বয়স হয়ে গিয়েছে, আর সময়ও হয় না।
তখন কেমন নববর্ষ ছিল? আর এখন কেমন?
আগে একদম অন্যরকম ছিল। কিন্তু, এবছর যেমন সিরিয়ালের শুটিং এ নববর্ষ উদযাপন করলাম। কথা এবং তেঁতুলপাতা ধারাবাহিক একসঙ্গে শুটিং হল। প্রচুর গান, গল্প, আড্ডা, হইচই হল। শিবপ্রসাদ এসেছিল শুট এ। সবমিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম।
আরও পড়ুন - Uttam Kumar: উত্তমের ছেলের বিয়েতে অন্যরকম সুচিত্রা, পৌঁছেই কী বলেছিলেন তিনি?
ছোটবেলার নববর্ষ কেমন ছিল?
তখন একদম অন্যরকম ছিল। আমার মনে আছে, মা পুজো করতেন। আমাদের সকালে উঠিয়ে, কাঁচা হলুদ দিয়ে স্নান করিয়ে দিতেন। পুজো হয় গেলে প্রসাদ খেতাম, মা বলতেন আগে প্রসাদ খাবে তারপর ভাত। ওহ! আমরা নববর্ষের দিন নিরামিষ খাবার খেতাম। এটা আমাদের একদম ছোটবেলায় হত। তারপর যখন একটু বড় হয়ে কলকাতায় চলে এলাম, তখন মা অল্প একটু মাছ আনতেন, কিন্তু মাংস কোনোদিন আনতেন না। তারপর যখন অভিনয় জীবনে ঢুকলাম, তখন অন্তত দুটো শুভ মহরত থাকত নববর্ষের দিন। নতুন সিনেমা নিয়ে তখন কি উন্মাদনা। আমাদের কি আনন্দ, এই বিশেষ দিনে যাব সেখানে। মনে আছে, সেখানে একটা সিনের অভিনেতারা, স্ক্রিপ্ট থেকে বেছে নিয়ে সংলাপ বলত। লাঞ্চে খাওয়াদাওয়া হত। এবং, সঙ্গে সঙ্গে টেকনিশিয়ান ভাইরা আমাদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করত। বিকেল বিকেল বাড়ি আসতাম। সেটা যে সুখের আনন্দ ছিল। এখন আর সেসব নেই।
আরও পড়ুন - Anamika Saha: বুম্বা বলে, সারাজীবন নেশা করলে না, আর এখন এটাই ধরলে? …
নববর্ষ মানে নিশ্চই নতুন জামা, কিংবা নতুন শাড়ি?
ওহ বাবা! এখনো আছে। নববর্ষের দিন, আমাদের এটাই নিয়ম ছিল, যে ঠাকুরও নতুন পোশাক পড়তেন, আমরাও নতুন পোশাক পড়তাম। এখনো সেটা ধরে রেখেছি। নতুন শাড়ি কিনেছি। নববর্ষের দিন অনুষ্ঠান আছে, সেটা পড়ব।
এবারের খাওয়াদাওয়া নিয়ে বিশেষ প্ল্যান কী?
কোনও বিশেষ প্ল্যান নেই গো। এখন তো অনেক মানুষ নেই। বাড়ি পুরো ফাঁকা থাকে। আমি থাকব না সেদিন। আমার বর থাকবে না। এবং তাঁর থেকেও বড় কথা, এখন বয়স হয়ে গিয়েছে। আমার শশুরবাড়ির লোক একটু পাশ্চাত্য প্রভাবের, তাই অতটা নববর্ষ নিয়ে এই বাড়িতে খুব একটা কিছু হয় না।