Uttam Kumar - Suchitra Sen: খুব কম হলেও সালটা ৭০ এর দশক। অভিনেতা উত্তম ততদিনে মহানায়ক হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তখন ছেলে গৌতমের বৌভাতের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। উত্তম সেদিন বাবা। অনেক দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন মহানায়ক। বলাই উচিত, সেদিন আদ্যোপান্ত চাটুজ্জে বাড়ির জ্যেষ্ঠপুত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সবকিছু সামলেছিলেন নিজের হাতেই।
আরও পড়ুন - Anindya Chatterjee-Kilbil Society: টক্সিসিটির শেষ সীমায়, অনিন্দ্যর ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন সৃজিত! চূড়ান্ত বিরক্ত নায়িকা...
সেদিন ছিল, তাঁদের ছেলে গৌতমের বৌভাতের অনুষ্ঠান। তাঁদের বাড়িতে হাজির ছিলেন অনেকেই। যেহেতু, মহানায়কের বাড়ির অনুষ্ঠান, এবং তাঁর ছেলের বৌভাত, তাই সেদিন আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। সঙ্গে সঙ্গে সুচিত্রা সেনও ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে। অভিনেত্রী সন্ধে হতেই বন্ধু এবং প্রিয় মানুষ উত্তমের ছেলের বিয়েতে হাজির হন। সেদিন, উত্তম সেজেছিলেন সাদা রঙের ধুতি পাঞ্জাবিতে।
মহানায়িকা শুধু তাঁর সহকর্মী কিংবা প্রিয় অভিনেত্রী নন, বরং তাঁর কাছের বন্ধুও বটে। যদিও, বা সুচিত্রা বরাবরই খুব গম্ভীর মানুষ ছিলেন, রসিকতা করতে খুব একটা জানতেন না। কিন্তু, সেদিন খুব অন্যরকম সেজেছিলেন। শাড়ির জায়গায় পড়ছিলেন মেখলা। সন্ধ্যে হতেই হাজির হন তাঁর বাড়িতে। এবং, ঢুকেই খোশমেজাজে বলে ওঠেন, "কই আমার হিরো কই?" গৌরীদেবী সেদিন তাঁকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেছিলেন। মহানায়কের মুখে তখন একগাল হাসি।
আরও পড়ুন - Sujan Neel Mukherjee: হার্ট অ্যাটাকের পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সুজন? যা বললেন অভিনেতা..
নববধু সুমনা চট্টোপাধ্যায়, সেদিন প্রধান আকর্ষণ চট্টোপাধ্যায় বাড়ির। তাঁকে আশীর্বাদ করে মহানায়িকা নাকি এও বলেছিলেন, "শ্বশুরমশাইকে ধরে রেখো।" এমনিও, দেখা যায় সেদিন মহানায়কের ছেলের বিয়েতে নানা ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, যিনি তাঁরা দাদা উত্তমের বাড়িতে সেদিন গিয়েছিলেন, তাঁকে প্রায় না খাইয়ে মিষ্টি দিয়েই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন মহানায়ক। সেই নিয়েও এক দারুণ গল্প রয়েছে।
এমনকি, এও জানা যায় যে সেদিন নাকি সুচিত্রা বাকিদের মত একেবারেই পাত পেড়ে খাননি। বরং, পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটিয়েই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি।