Anamika Saha Reacts on Thakurpukur Kolkata accident: ইন্ডাস্ট্রির বুকে সফল ছবির পার্টি ঠিক কেমন হতো? ইন্ডাস্ট্রি তো আজকের নয়? বরং, এই ইন্ডাস্ট্রিতে বহুবছর আগে থেকেই ছবির সাফল্যে নানা জায়গায় উদযাপন চলত। সেখানে উপস্থিত থাকতেন, অনেকেই। এবার সেই প্রসঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার ফোন গিয়েছিল, অনামিকা সাহার কাছে। এমন কোনও তারকা নেই তিনি যার সঙ্গে কাজ করেননি। কিন্তু, এই প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীদের এত উশৃঙ্খল জীবন যাত্রার কথা একেবারেই বুঝতে পারেন না।
অভিনেত্রী শুটিংয়ের মাঝেই কথা বলেন। তখনকার সেলিব্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজে কী নেশা শুরু করেছিলেন সবটাই জানালেন খোলাখুলি। অভিনেত্রী বলছেন, "আমাদের সময় সাকসেস পার্টি হত। কোথাও একটা আমরা সবাই যেতাম, আমাদের প্রোডাকশন থেকে নিমন্ত্রণ জানানো হত। এবং, সেখানে খাওয়া দাওয়া হয় হুল্লোড় থেকে শুরু করে, নাচ গান সব হত। কিন্তু কম হত। এখন কথায় কথায় হয়। তখন ছবির ওপর ছবি হিট হতো। আমরা কোনোদিন এসব শুনিনি যে পার্টিতে নেশা করে কোনও তারকা ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি আমার ব্যক্তিগত ঘটনাই বলি। বুম্বা ( প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ) আমায় কত বলত, ফিল্ম দুনিয়ার মানুষ তুমি, পার্টিতে এসেছ, একটু খাও? আমি বলতাম, খেলে বমি করে দেব রে।"
আরও পড়ুন - Kilbil Society: কিলবিলের জয়জয়কার, বাড়ছে শো, ব্যাপক হারে টিকিট বিক্রি…
এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি এও জানালেন, যে তিনি কীসের নেশা করেন, এবং প্রসেনজিৎ বাবু সেই নিয়েও মশকরা করেন। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি পান খাই। তখন আমাদের সময় সব বড় শিল্পীরা পানটাই খেত। মাধবীদি, হাসি দি, সকলে পান খেতেন। বুম্বা মজা করে আমায় বলে এখন, কিছুর নেশাই করলে না, এখন শুধু পানের নেশা ধরেছ। আসলে, আমরা একটু পুরোনো নিয়মের মানুষ। আরেকটা ঘটনা বলি, ঘাতক ছবির সময়, রজতাভ ছিল সেটে। তো, আমি ওকে পান সেজে দিতাম। ও একদিন আমায় বলে বসল, একটু জর্দা আনাও না। তখন আবার ওর জন্য সেটা আনাতে হল। এখন পানের নেশা-ই সব।"
আরও পড়ুন - Saheb Bhattacharya on Thakurpukur Accident: ৮ বছরেও মেলেনি সাজা, ঠ…
তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনি জানান সেই প্রজন্মের মধ্যে একেবারেই উসৃঙ্খল আচরণ ছিল না। এসব ভাবনাতিত ছিল তাঁদের কাছে। তাঁরা ফ্লোরে ঢুকতেন, ফ্লোরকে প্রণাম করতেন, ক্যামেরা পুজো হত, বয়সে বড় পরিচালক হলে তাঁকেও প্রণাম করতেন, তারপর কাজ শুরু হত। অভিনেত্রীর কথায়, "এখন এসব কোনও ব্যাপার না। এখন তো ফোনে কথা বলতে বলতে মনিটর করে। পরিচালকও কিছু বলে না। এমনকি, আমাদের সময় পোশাক নিয়ে কত সমস্যা হত। অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপ দেখা গেলে লজ্জার বিষয় ছিল। এখনের প্রজন্মের হয়েছে, এরা বিদেশের ভালটা না নিয়ে খারাপ নিচ্ছে। কিন্তু, আমি সকলের সঙ্গে মানাতে পারি। আমায় অনেক জায়গায় জুনিয়ররা বলে, দিদি একটু স্মোক করছি, কিছু মনে করো না। আমি ওদের বলি, আমিও তো পান খাচ্ছি, তোমাদের যেটা করে ভাললাগে সেটা করো। কিন্তু, অভিনয়ের সময় যদি গন্ডগোল হয়, মানে সিরিয়াল তো, অনেকেই ঝরঝরিয়ে মুখস্থ ডায়লগ বলে। পরিচালক বলে, দিদি আমাদের সময় কম। আপনারা বড়পর্দার মানুষ, আপনাদের সময় থাকত, কিন্তু, আমাদের সেই সময় নেই। এগুলোতে আমার একটু অদ্ভুত লাগে।"
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী ধারাবাহিকে এখনও চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। একসময় বড়পর্দার বিন্দুমাসি, তিনি সিরিয়ালে ঠাম্মা হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন।