Shaheb Bhattacharya on Thakurpukur Road Accident: না! ৮ বছর আগের পুরোনো ঘটনার সুরাহা এখনো হয়নি। পুলিশ এখনো কিনারা করতে পারেনি বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং সোনিকা চৌহানের দুর্ঘটনার। তাই যখন আজ এত বছর পর, টলিপাড়ার অন্দরে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন সে পুরনো ঘটনার কথা বারবার মনে পড়ছে সাহেব ভট্টাচার্যর। সোনিকা, সাহেবের প্রাক্তন প্রেমিকা ছিলেন। বিক্রমের গাড়ি যেদিন অ্যাক্সিডেন্ট করে, সেদিন সোনিকা ( Vikram-Sonika Case ) সেই গাড়িতেই ছিলেন। হাজরার ওখানে যে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে, তাতে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় আঘাত পেলেও, সোনিকা না ফেরার দেশে পাড়ি দেন।
আরও পড়ুন - Jeet Untold Stories: সুপারস্টার হয়েও কীভাবে এত সাধারণ? জীবনের মূলমন্…
তাই দিন তিন চারেক আগে যখন, টলিউডের বুকে আবারও এই ঘটনা ঘটে, তখন আবারও যেন তার মনে পড়ে গেল সেই ঘটনার কথা। পাশাপাশি তিনিও জানালেন, এই ঘটনার কোন সূরাহা হবে বলে মনে হয় না। শাস্তিও হবে বলে মনে হয় না। আগে থেকে এই সমস্ত কেসের সমস্ত জট তিনি দেখে ফেলেছেন। তো এই ধরনের কেসে পরিণতি কি হতে পারে সেই সম্পর্কে তিনি অবগত। অতীতের পাতায় উঁকি দিয়ে সাহেবকে বলতে শোনা গেল...
আমার মনে হয় না এই কেসটা নিয়ে বেশি কিছু হবে। কারণ যে কটা ধারা পুলিশ দেবে প্রত্যেকটা জামিনযোগ্য অপরাধ। সেটা ৩০৪ এ অথবা রেকলেস ড্রাইভিং এর, সব কটাই জামিনযোগ্য। সেই অপরাধী কিছুদিন হয়তো, পুলিশ কাস্টডিতে থাকবে, তারপরে হয়তো জেল কাস্টডিতে থাকবে। পুলিশ যদি কোন স্ট্রং কেস তৈরি করতে না পারে, তাহলে আদৌ কোন সাজা বা শাস্তি হবে কিনা, সেই নিয়ে আমার গুরুতর সন্দেহ আছে।"
আরও পড়ুন - Paran Bandopadhyay: ইন্ডাস্ট্রিতে মদ্যপান নতুন নয়, কিন্তু সেলিব্রিটি মান…
আমি তাকে বলতে শোনা যায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা। সোনিকার মৃত্যুর পর, বহুবার তাকে পুলিশের সঙ্গে নানান রকমের কথোপকথনে যেতে হয়েছে। কিছুদিন তো সাহেব এই সমস্ত কিছু থেকে দূরে ছিলেন। নিজেকে একেবারেই গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই, ঠাকুরপুকুরের গাড়ি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না অভিনেতা। তিনি বলছেন, "আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলছে আট বছরেও, এহেন দুর্ঘটনার কোনও সাজা হয়নি।"
উল্লেখ্য, গতকাল মানসী সিনহা নিজেও জানিয়েছিলেন, এখানে কোনও কেসের সুরাহা হয় না। বিক্রমের কেসটা এখনও চলছে, আজও কোনও শেষ নেই।