বুধবার সকালে নিজের দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মার্সিডিজের ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। সেই সঙ্গে লম্বা পোস্ট। কোলাঘাট থেকে ধুলাগড় টোলপ্লাজার ঠিক মাঝামাঝি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অঙ্কুশ। একটুর জন্য বেঁচে গেলেন অভিনেতা। তবে এখানেও যবনিকা পতন হয়নি।
''এ বাবা সেলিব্রিটির গাড়িতে মেরে দিলি'', কর্তব্যরত পুলিশের এহেন মন্তব্য শোনার পর চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল অভিনেতার। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ''গতকাল রাতে হাইওয়েতে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। ধন্যবাদ মদপ্য লরি চাললকে। তিনি কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। পরে পুলিশ এসে বলল, 'এ বাবা সেলিব্রিটির গাড়িতে মেরে দিলি? এত সাহস হয় কী করে?' এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কী করে হয়?''
আরও পড়ুন, বৃদ্ধাবেশে সোহিনী, প্রকাশ্যে ‘আগন্তুক’-এর পোস্টার
উদ্বেগ প্রকাশ করে অঙ্কুশ লিখেছেন, ''আমাদের রাজ্যে অহরহ এধরনের দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রায় লক্ষ লক্ষ এই কেস পাওয়া যাবে। চালকদের জন্য আইন কঠিন করা প্রয়োজন। দয়া করে, প্রত্যেকে নিরাপদে থাকুন।''
আরও পড়ুন, নেপালে জোরকদমে চলছে ফেলুদার শুটিং
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১২.৩০টা নাগাদ মেদিনীপুরে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করে ফিরছিলেন অঙ্কুশ। ফেরার পথে কোলাঘাট থেকে ধুলাগড় টোলপ্লাজার ঠিক মাঝামাঝি একটি লরি এসে তার গাড়িকে ধাক্কা মারে। প্রাণে বেঁচে গেলেও গাড়িটা প্রায় দুমড়ে যায়। পরে উলুবেরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায় অঙ্কুশের টিম। তবে থানা প্রমাণ ছাড়াও কোনও অভিযোগ নিয়ে চায়নি।
জাতীয় সড়কের ওই অংশটির মধ্যে বাগনান, বাউরিয়া, পাঁচলা, সাঁকরাইল এবং উলুবেড়িয়া— এই পাঁচটি থানা পড়ে। তা সত্ত্বেও কোনও থানাই অভিযোগ নেননি। আর তাতেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতা। সোশাল মিডিয়ায় অঙ্কুশের পোস্ট দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহু তারকাই।