/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/10/cats-2025-07-10-15-45-22.jpg)
অকপট অনুষ্কা
Anoushka Shankar Abuse story: বিশিষ্ট সেতারবাদক অনুষ্কা শঙ্কর সম্প্রতি বরখা দত্তের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। সমাজের চোখে সাধারণ মানুষ আর সেলিব্রিটির মধ্যে যে ফারাক সেটা যে আদতে ঠিক নয় সেই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন অনুষ্কা। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বাবা পণ্ডিত রবি শঙ্করের জীবনাবসান তাঁর জীবনকে কতটা বদলে দিয়েছিল সেই বিষয়ে কথা বলেন।
একইসঙ্গে বাবার মৃত্যুর পাঁচদিন পর দিল্লিতে নির্ভায়া গণধর্ষণ কাণ্ড তাঁর মনে কী প্রভাব ফেলেছিল সেই কথাও বলেন। সেই সময় নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের কথা মনে পড়ে যায়। মেয়ের জীবনের সেই যন্ত্রণাদায়ক ঘটনার কথা বাবা জানতেন। তাই প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছলেন পণ্ডিত রবি শঙ্কর। বাবার মৃত্যুর পর আজ সেই দিনের কথা অনেকটা স্বাধীনভাবে বলতে পারছেন অনুষ্কা শঙ্কর।
আরও পড়ুন 'চিরদিন আমরা...', পরাগ ছাড়াও শেফালির জন্য যন্ত্রণায় দিন কাটছে কার?
তিনি বলেন, 'আমি আমার সংগীত জগৎয়ের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা হারিয়ে ফেলেছি। আমার শিক্ষক, সংগীতের সঙ্গী আর অবশ্যই গ্র্যামির মঞ্চের সেই অভিজ্ঞতা। আমার বাবার মৃত্যুর ঠিক পাঁচদিন পর দিল্লিতে নির্ভায়ার ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু, বাবার মৃত্যুশোক আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। দুটি ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। একদিকে বাবার মৃত্যু অন্যদিকে দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডের খবরে প্রচণ্ড রাগে ফুঁসেছি।'
সাধারণ পরিবারের মেয়ের সঙ্গেই এই ধরণের ঘটনা ঘটে। এই বদ্ধমূল ধারণা যে ভুল সেই কথাও বরখা দত্তকে বলেছেন বিশিষ্ট সেতারবাদক অনুষ্কা শঙ্কর। তাঁর মতে, অনেকেই ভাবেন তিনি প্রয়াত কিংবদন্তী রবি শঙ্করের মেয়ে হওয়ার সুবাদে জীবন অনেক মসৃণ। এই বিষয়গুলো তাঁর কাছে একপ্রকার বিরক্তিকর ছিল।
নির্ভায়া ঘটনায় মেয়েটি যেহেতু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছিলেন তাই তাঁকে নিয়ে মানুষের সহানুভূতি ছিল। কিন্তু, যখন তিনি জীবনের মর্মান্তিক কোনও ঘটনার কথা বলেছেন তখন সকলে ভেবেছেন তিনি তো রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেওয়া এক অসাধারণ মেয়ে। যৌন নির্যাতন নিয়ে সেই সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অনুষ্কা শঙ্কর।
আরও পড়ুন 'সুশান্তের মতো আমিও আত্মহত্যা...', কাজ না পেয়ে চরম অবসাদে হঠকারী সিদ্ধান্ত অভিনেত্রীর
তাঁর মতে, প্রত্যেকের কাছেই এই বিষয়ে একটা আলাদা স্পেকট্রাম আছে। যখন কেউ তাঁর মনের গভীর ক্ষত লুকিয়ে রাখেন, সেই সময় তাঁর বাহ্যিক পরিস্থিতির সঙ্গে কিন্তু, বাস্তবের কোনও সাদৃশ্যই থাকে না। আমার এখন মনে হয় বাবার মৃত্যুর পর স্বাধীনভাবে এই কথাগুলো বলতে পারছি। বাবা আমার জীবনের গল্প জানতেন। কোন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত হয়েছে সেই বিষয়েও সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন। কিন্তু, আমার সঙ্গে যখন বিষয়টি শেয়ার করেছিলেন তখন প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলেন। আমিও মারাত্মক ট্রমার মধ্যে ছিলাম। ভাবার মতো তখন মানসিক অবস্থা মোটেই ছিল না।