Archana Puran Singh: ইগোর লড়াইয়ে দাম্পত্যে অশান্তি-একবছর ঘরবন্দি হয়ে অবসাদে ছেলে, কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা ভাগ অর্চনার

Archana Puran Singh Tragic Life Story: স্বামীর সঙ্গে ইগোর লড়াইয়ে দাম্পত্যে কঠিন সময় থেকে বিদেশে পড়ার সময় ছেলের অবসাদে ভোগা জীবনের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুললেন অর্চনা পুরাণ সিং।

Archana Puran Singh Tragic Life Story: স্বামীর সঙ্গে ইগোর লড়াইয়ে দাম্পত্যে কঠিন সময় থেকে বিদেশে পড়ার সময় ছেলের অবসাদে ভোগা জীবনের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুললেন অর্চনা পুরাণ সিং।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
cats

অর্চনার কঠিন সময়

Archana Puran Singh-Aaryamann Sethi-Parmeet Sethi: রূপোলি দুনিয়ার চাকচিক্যের অন্তরালে থাকে সেলেবদের জীবনের অনেক যন্ত্রণা। সেইরকমই একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা অর্চনা পুরণ সিং। অভিনেতা পারমিত শেট্টির সঙ্গে দাম্পত্যের কঠিন সময় ছেলের ভ্লগে মুখ খুলেছেন অর্চনা। 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' খ্যাত অর্চনা জানালেন তাঁদের সম্পর্কের টালমাটাল সময়ের কথা। সম্পর্কে ইগো এতটাই প্রাধান্য পেয়েছিল যে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ধ্যানের মাধ্যমে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন অর্চনা পুরাণ সিং।

Advertisment

ছেলে আর্যমান শেঠির ভ্লগে অর্চনা বলেন, 'পরমিত আর আমি বৈবাহিক জীবনে খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। একে অপরকে বোঝার ক্ষেত্রে আমরা ভুল করছিলাম। আর অনেক সময় ইগো-র কারণে সেটা ঘটত। যখন দু’জন মানুষই নিজেদের জেদে অনড় থাকে তখনই দাম্পত্যে সমস্যা দেখা যায়। যখন আর্যমান ছোট ছিল তখনও আমি জানতাম একজন সন্তানের বাবার সান্নিধ্য কতটা প্রয়োজন। বাবা হিসেবে সন্তানকে কতটা ভালবাসে সেটা বুঝেছিলাম। তাই তখন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, কোনওদিন দাম্পত্য ভাঙতে দেব না।' 

অর্চনা জানান, তিনি আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে যুক্ত হন এবং ধ্যান শুরু করেন। সেই ধ্যান তাঁকে সম্পর্কের টানাপোড়েন সামলাতে সাহায্য করে। পরে তিনি পরমিতকেও ধ্যান করতে উৎসাহিত করেন। আর এটাই তাঁদের সম্পর্ককে ফের মজবুত করতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, “ধ্যানের পর পরমিত আমাকে বলেছিল, আমি তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে দেখেছি। তখন কিন্তু, আমাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া-অশান্তি। তার মাঝে আমরা বুঝতে পারি একে অপরকে ভীষণ ভালোবাসি। দিনে অন্তত ১৫ বার ঝগড়া করি, কিন্তু একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারি না।'

Advertisment

ছেলে আর্যমানের শৈশবের একটি ঘটনা শেযার করে অর্চনা বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে লন্ডনের একটি বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করার সময় আর্যমান মারাত্মক মানসিক চাপে ভুগেছিল।  লন্ডনে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পা ভেঙে গিয়েছিল। সেই সময় স্বপ্নভভঙ্গ হয়েছিল আর্যমানের। আজকের এই হাসির আড়ালে যে কত কষ্ট লুকিয়ে আছে সেটা কেউ জানে না। ছেলের শৈশবের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, 'যখন তুমি হতাশা আর উদ্বেগে ভুগছিলে তখন আমি তোমার চোখে নিজের জীবন আর আনন্দকে হারিয়ে যেতে দেখেছি।'

আরও পড়ুন চরম আর্থিক অনটন থেকে দাম্পত্যে অশান্তি, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন অর্চনার স্বামী পরমিত

এই প্রসঙ্গে আর্যমান বলেন, 'অনেকে ভাবে টাকা, বাড়ি, পরিবার থাকলে এমন সমস্যা বাস্তব নয়। কিন্তু আমার কাছে সেটা খুব কঠিন সময় ছিল। অবশ্যই মানুষের জীবন আমার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হতে পারে কিন্তু আমার জন্য সেটা একটা সংগ্রাম ছিল।' অর্চনা আরও জানান, আর্যমান প্রায় এক বছরের বেশি সময় ঘর থেকে বের হতেন না। স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'তুমি দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস এই ঘরেই বসে থাকতে। তখন মনে হয়েছিল তুমি আর এই অন্ধকার থেকে বেরোতে পারবে না। কিন্তু আমি পুরো এক বছর তোমার পাশে থেকেছি। তোমাকে এই অন্ধকার থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেছি।'

আর্যমান আর যোগিতার সম্পর্ক প্রসঙ্গে অর্চনার সংযোজন, 'আজ তুমি খুব খুশি। সঠিক মানুষ জীবনে এসেছে এটা সত্যিই আশীর্বাদ। আমি জানি যোগিতা আর তুমি পরস্পরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদেরও ঝগড়া হয়, যেমন আমার আর তোমার বাবার হয়। কিন্তু আসল প্রেম হল সেই বন্ধুত্বকে খুঁজে পাওয়া।'

আরও পড়ুন বিনা মেঘে বজ্রপাত! শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে দায়ের FIR

Archana puran singh