Archana Puran Singh-Parmeet Sethi: তারকাদের জীবনের খুটিনাটি জানতে সদাআগ্রহী থাকে সাধারণ মানুষ। সেলিব্রিটিদের হাঁড়ির খবর ফাঁস হলে তো একেবারে কেল্লাফতে। সম্প্রতি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে খ্যাত অভিনেতা পরমিত শেঠি ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে মুখ খোলেন। ছেলে আর্যমান শেঠির ইউটিউব চ্যানেলে এক খোলামেলা আলাপচারিতায় মেতেছিলেন অভিনেতা। শৈশবের কঠিন জার্নি থেকে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গার দুর্বিসহ স্মৃতি এবং স্ত্রী অর্জনা পুরাণ সিংয়ের সঙ্গে বৈবাহিক জীবনের নানান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আড্ডায় পরমিত।
তিনি জানান, পরমিতের বাবা ছিলেন দেশভাগের সময় পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা এক শরণার্থী। আদি বাড়ি ছিল পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। ভার-পাক ভাগাভাগির সময় পরিবারকে রাতারাতি ভারতে পালিয়ে আসতে হয়। জন্মসূত্রে পরমিত দিল্লির ছেলে। বাবা-মায়ের সঙ্গে ডিফেন্স কলোনিতে বড় হয়েছেন। ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার ভয়াবহ স্মৃতি শেয়ার করলেন অভিনেতা।
পরমিত বলেন, 'আমার ভাই তরুণ ও তাঁর বাবা ১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় মারা যান। তরুণ ছিল আমার সবচেয়ে কাছের ভাই। ওঁর মৃত্যুর পর আমি খুব অল্প বয়সেই চুল কেটে ফেলি এবং পাগড়ি পরার অভ্যাস ত্যাগ করি। আমার তখন মনে হয়েছিল 'এইটা করে কী হবে' যখন নিজের পরিবারের মানুষই আর নেই। আমাদের চারপাশে তখন আতঙ্কের পরিবেশ। কিন্তু, আমার চুল কেটে ফেলাটা বাবা একদমই মেনে নিতে পারেননি।'
আরও পড়ুন 'চিঠি লিখেছিলেন-লকডাউনের সময় ফোন করে...', হাঁটুর বয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে অমিতাভের সিক্রেট ফাঁস
তিনি জানান, 'একবার দাঙ্গার সময় একদল দুষ্কৃতী আমাদের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু আমাদের এক প্রতিবেশী সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তিনি ছাদে উঠে বন্দুক নিয়ে আমাদের রক্ষাকবচ হিসেবে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। বাবাও সেই সময় তাঁর বন্দুকে গুলি ভরছিলেন। এভাবেই আমরা সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম।' অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কথাও বলেন পরমিত।
অর্চনার স্বামী বলেন, 'অভাব অনটনের মধ্যেই ছোটবেলাটা কেটেছে। বাবার আর্থিক সমস্যা দেখে আমি কখনও তাঁর কাছে কিছু চাইতে পারতাম না। মনের মধ্যে অনেক চাহিদা ছিল কিন্তু সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতাম। কলেজ জীবনে রোজগারের মাধ্যম হিসেবে আমার মামার ফ্যাক্টরি থেকে জামা এনে মুম্বইয়ে বিক্রি করতাম।'
আরও পড়ুন কবে OTT-তে মুক্তি পাবে 'মেট্রো ইন দিনো'? জেনে নিন কোথায় কখন দেখবেন
শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'মুম্বইয়ে চলে আসার পর মাঝেমধ্যে দিল্লি ফিরে গিয়ে ভাই-বোনদের সঙ্গে গিল্লি-ডাণ্ডা খেলতাম। কখনও গিল্লিটা পঁচা নালায় পড়ে যেত আমরা সেটা তুলে ধুয়ে আবার খেলতাম। এখন ভাবলে খারাপ লাগে কিন্তু তখন কিছুই মনে হতো না।' স্ত্রী অর্জনা পুরাণ সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন তিনি।
পরমিত বলেন, 'একটা সময় আমাদের মধ্যে প্রচুর ঝামেলা হত। সেই সময় অর্জনা আমাকে আর্ট অব লিভিং-এর একটা কোর্স করতে বলেছিল। ওঁর পরামর্শ মতো আমি সেটাও করেছিলাম। সেই সময় জীবনের অনেক চাপা দুঃখ-কষ্ট বিশেষ করে আমার মৃত বোনের জন্য প্রথমবার মন খুলে কাঁদতে পেরেছিলাম। এটা আমার জন্য সত্যিই খুব প্রয়োজনীয় ছিল।'
আরও পড়ুন সঞ্জয় দত্তকে ৭২ কোটির সম্পত্তি উপহার, মহিলা ভক্তের ভালবাসার যা প্রতিদান নিলেন 'খলনায়ক'....