বেলঘরিয়ায় দু-দুটো বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, সাত মাস ধরে মেনটেন্যান্স-ই দেননি অর্পিতা

টালিগঞ্জের মতো বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও ভিভিআইপি-দের যাতায়াত ছিল।

টালিগঞ্জের মতো বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও ভিভিআইপি-দের যাতায়াত ছিল।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
recovered more cash from arpita mukherjees belgharias flat

পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়িতে টাকার পাহাড়।

ফ্ল্যাট তো নয় যেন প্রাইভেট ব্যাঙ্ক। টালিগঞ্জে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি নগদ টাকা, সোনাদানা উদ্ধার করেছে ইডি। এত টাকা উদ্ধারের পর সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেলঘরিয়ার রথতলায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটস আবাসনে আরও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। ১১০০ এবং ১৬০০ স্কোয়ার ফিটের দুটি ফ্ল্যাটের মালিক অর্পিতা।

Advertisment

বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সঙ্গে রয়েছে ছাদও। কিন্তু এত দামি ফ্ল্যাট থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের টাকাই না কি দিতেন না অর্পিতা। আবাসন কর্তৃপক্ষের দাবি, এবছর জানুয়ারি থেকে দুটি ফ্ল্যাটের মেনটেনেন্স বাবদ ৬০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে গেস্ট হাউস বানাতে চেয়েছিলেন অর্পিতা। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ। টালিগঞ্জের মতো বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও ভিভিআইপি-দের যাতায়াত ছিল। তাহলে কি মন্ত্রী পার্থ এবং অন্যান্যরাও আসতেন এখানে? তা খোলসা করেনি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার গ্রেফতারির পর ফ্ল্যাট থেকে ইডির গাড়িতে ওঠার সময় বিজেপিকে নিশানা করেন অর্পিতা। চিৎকার করে বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি, এটা বিজেপির চাল।’ তবে, কেন তিনি এসবের মধ্যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের ‘চাল’ খুঁজে পাচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি।

Advertisment

আরও পড়ুন পার্থর পর গ্রেফতার অর্পিতা, ‘আমি অন্যায় করিনি-বিজেপির চাল’, দাবি ‘মন্ত্রী-সাথী’র

শুক্রবারই অর্পিতার টালিগঞ্জের বাড়ি থেকে ২১.২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার বেশিরভাগটাই সরকারি খামে ছিল বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। নগদ কোটি কোটি টাকা ছাড়াও শুক্রবারের তল্লাশিতে ওই ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ৫৬ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা, ৭৯ লাখ টাকা মূল্যের সোনার গয়না, আটটি স্থাবর সম্পত্তির দলিল। এছাড়াও ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন পার্থর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে দিলীপের প্রশ্ন, মুখ খুললেন মোনালিসা

পেশায় অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পাহাড় প্রমাণ এই অর্থ কীভাবে একজন অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে এল? জানা গিয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি-র গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে, প্রথমে দালালরা এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিত। সেই টাকা দালাল মারফৎ সরকারি কর্মচারী, আমলার হাত ঘুরে নেতা, মন্ত্রীদের কাছে যেত। অর্থাৎ চেন প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এগোত।

WB SSC Scam Arpita Mukherjee ED partha chatterjee