Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছবি 'আর্টিকল ১৫'

২০১৮ সালে 'মুল্ক' তৈরি করেছিলেন পরিচালক অনুভব সিনহা। এবারে তৈরি করলেন 'আর্টিকল ১৫', যা ধর্মের বিভেদের দ্বন্দ্বে ফেটে পড়ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
article-15

আর্টিকল ১৫-য় অভিনয় করেছেন অয়ুষ্মান খুরানা।

Article 15 movie cast: আয়ুষ্মান খুরানা, মনোজ পাহওয়া, কুমুদ মিশ্র, ঈশা তলওয়ার, সায়নী গুপ্ত

Advertisment

Article 15 movie director: অনুভব সিনহা

Article 15 movie rating: ৩/৫

"অওকাত ওহি হে যো হাম দেতে হ্যায়।" ছবিতে একটি ক্রুর চরিত্রের মুখ থেকে বলানো হয় এই সংলাপ। এই চরিত্রটিই ছবিতে দেশের পুরনো শ্রেণি এবং জাতিগত বিষয়ে বিশেষ সুবিধার অধিকারী, আর তার মুখের এই সংলাপ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় আধুনিক ভারতের ত্রুটি। উচ্চবর্ণের মানুষ আরও আরও ক্ষমতাশালী হচ্ছে আর নিম্নবর্গ ততোধিক পিছিয়ে পড়ছে, হারিয়ে যাচ্ছে, দলিত আখ্যা পাচ্ছে। আর এই হৃদয় বিদারক বিভাজন ধীরে ধীরে আজকের দেশে ভাগ্যের আকার নিচ্ছে।

২০১৮ সালে 'মুল্ক' তৈরি করেছিলেন অনুভব সিনহা। এবারে তৈরি করলেন 'আর্টিকল ১৫', যা ধর্মের বিভেদের দ্বন্দ্বে ফেটে পড়ছে। 'মুল্ক' ছবির ক্লাইম্যাক্সে আদালত কক্ষে যে সংবিধানকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন বিচারক, এখানে সেটিই ছবির বিষয়বস্তু হয়েছে।

আরও পড়ুন, এমন লুকে ভিকি কৌশলকে দেখা যায়নি আগে

ছবিতে আইপিএস অফিসার অয়ন রঞ্জন (আয়ুষ্মান খুরানা) উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামে পোস্টিং নিয়ে এলে একটা ঢেউ ওঠে। বাইরে থেকে আসা নতুন মানুষের পক্ষে ভারসাম্যের গুরুত্ব বোঝা সম্ভব নয়, যে পরিবেশে তাঁর অনুগত ব্রহ্মদত্তর (মনোজ পাহওয়া) বেড়ে ওঠা, অভ্যাসবশত কাজে প্রয়োগও বটে।

আর্টিকল ১৫-র সমস্ত চরিত্র বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। বাদায়ুনে দুই মেয়ের মৃত্যু (দেখানো হয় সালোয়ার কামিজ পরে দুটি মেয়ে গাছ থেকে ঝুলছে), গেরুয়া বসনের 'মোহন্তজি' যিনি জাতিভেদকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতির মুখ এবং অভাবনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে যান, ওঁর দলিত যুবরা (যদিও এটা ছবিতে ততটা দেখানো হয় না, আরও একটু দেখানো যেত, আমরা কেবল ঝলক দেখতে পাই)। হেডলাইনের সারি দেখতে পাওয়া যায় পরপর।

'আর্টিকল ১৫'-য় অনেক কিছু ভাল রয়েছে, কিছু কিছু জিনিস ভীষণ তীক্ষ্ণ। তার প্রথম উদাহরণ 'গ্রাম্য জাতিভেদের অত্যাচার ও শহুরে অজ্ঞতা'। একটা সময় অসহ্য লাগবে এত কিছু বারবার দেখানো। সায়নী গুপ্তা, যিনি অপহৃত বড় বোনের ভূমিকায়, তাঁকে অনেকটা সময় দেখা যায়, কিন্তু দলিত নেতা জেশিন আয়ূব আসেন এবং নিমেষে উধাও হয়ে যান। তবে পুলিশ ও অ্যাক্টিভিস্ট মহিলার মধ্যে প্রেমের আভাস কিছুটা হলেও ফিলারের কাজ করে এবং হারিয়ে যাওয়া মেয়েদের খোঁজার মধ্যে দিয়ে থ্রিলারের গন্ধ পরে কিছুটা হলেও ভিত্তিহীন হয়ে যায়।

আরও পড়ুন, সাতাশ বসন্ত পেরিয়ে স্মৃতি রোমন্থনে ‘দিওয়ানা’ শাহরুখ

অভিনয়ের কথা বলতে হলে কুমুদ মিশ্র, মনোজ পাহওয়া দুজনেই অনবদ্য। এই বিষয়কে সামনে রেখে ছবি করার কারণেই আমরা বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি এবং দুনিয়াটা সম্পর্কে যে আদর্শ ভাবনা রয়েছে, সেখানে অত্যাচার ও অন্যায়ের ধাক্কা লাগে, সবকিছুকে আমরা যে সহজেই মেনে নিয়েছি এই সত্যিটা আরও বেশি করে চোখের সামনে আসে। ছবিতে একটা-দুটো খটকা লাগার বিষয় থাকতে পারে, কিন্তু ভুলে যাওয়া অথচ জরুরী বক্তব্য রাখে এই ছবি। এটাকেই বলে প্রয়োজনীয়তা, অথবা যে মন্তব্যই করুন এই ছবি বাউন্ডারির বাইরে, আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই।

ছবিটা দেখলে আপনার সময় নষ্ট হবে না। আর আপনারা যদি না দেখেন তাহলে কারা দেখবে?

Read the full story in English 

Advertisment