গতকাল বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুপুর একটা ছয় মিনিট নাগাদ রাজধানী ঢাকার উত্তরায় এলাকায়, ভেঙে পড়ে একটি যুদ্ধ বিমান। তাও আবার একটি স্কুলের উপরে। বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্ত হয় এবং সেখানে আগুন ধরে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু বাচ্চা। শিশুদের নিহতের সংখ্যায় সব থেকে বেশি। কেউ তো তার পরিবারের প্রত্যেকটি সন্তানকে হারিয়েছেন, আবার বলার জোরে বেঁচে যাওয়া কিছু ছাত্র বলছেন, নিজে হাতেই তারা তাদের বন্ধুদের মৃত্যু দেহ বের করে এনেছেন।
এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। এতগুলো বাচ্চার প্রাণের দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বেশিরভাগ শিশুরই মৃত্যু হয়েছে অগ্নিদগ্ধ হয়ে। চীন থেকে কেনা সেই যুদ্ধবিমান এভাবে যে নিষ্পাপ শিশুগুলোর প্রাণ নিয়ে নেবে কেউ যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাংলাদেশের প্রথম আলো সূত্রে খবর, তাদের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নাকি ২৯.. এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের নানান ধরনের গন্ডগোল হয়েই চলেছে। বিমান দুর্ঘটনায় হতা হতে সংখ্যা স্বচ্ছ নয় বলেই দাবি করছেন বেশিরভাগ। এরই মধ্যে সেই দেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পদ্মা পাড়ের নানান জায়গায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ জানাচ্ছেন।
Paresh Rawal: নিজের মুত্র নিজেই পান করেন, চূড়ান্ত ট্রোলিং-র মুখে অভিনেতা, সাফাই গাইলেন। 'আমি বাকিদের দিয়ে খাইনি তাই...'
সে দেশের এমন ভয়ংকর দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। ছোট ছোট ফুলের মত প্রাণগুলো যারা রোজ সকালে উঠে একবার আরমোড়া ভেঙে বলতো আজকে আর স্কুল যাব না, তাদের জন্য স্কুল যাওয়ার চিরতরেই বন্ধ হয়ে গেল। এবং এ প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন তসলিমা নাসরিন। অনেকেই দুর্ঘটনাকে প্ল্যানিং প্লটিং করে করানো ঘটনা বলে উল্লেখ করছেন। কিন্তু সত্যিই কি এতটা নির্মমভাবে কিছু করা যায়? সত্যি কি এই দুর্ঘটনার পিছনে রাজনীতির এক বিরাট খেলা রয়েছে? তসলিমা নিজের, ভাবনা প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। গতকাল থেকেই, বেশ কিছু শিশুর আইডি কার্ড সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে তাদের খোঁজ নেওয়ার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন সেই দেশের পড়ুয়ারা কিংবা স্বেচ্ছাসেবকরা। তাঁদের মধ্যে কেউ চিকিৎসাধীন বার্ন ইউনিটে, আবার কেউ কেউ চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে।
Ed Summons Actors: অবৈধ কাণ্ডে যুক্ত! ভারতীয় সিনেমার ৪ সুপারস্টারকে তলব ED - র
সে দেশের তারকারা সরব হয়েছেন এই ঘটনার কারণে। সাধারণ মানুষ, আহতদের এবং চিকিৎসাধিনদের রক্ত দেবেন বলে, জড়ো হয়েছেন। দলীয় বিবাদ তারা চান না। আর এদিকে তসলিমা সেই ঘটনার প্রসঙ্গে বলছেন, "অনেকে বলছে এই দুর্ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়, এটি প্ল্যান করে করা। আমার মনে হয় না। একজন তরুণ ফাইটার পাইলটের মৃত্যু হবে, প্রচুর শিশু কিশোর পুড়ে কয়লা হয়ে যাবে, এ কি কেউ চাইতে পারে? রাজনীতি খুব নির্মম জানি, কিন্তু এত নির্মম? আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না। আসলে আমরা যারা নষ্ট রাজনীতির মধ্যে বাস করছি দীর্ঘ দীর্ঘ কাল, যারা রাজনীতিকদের দ্বারা ঠকেছি , বঞ্চিত হয়েছি, প্রতারিত হয়েছি দীর্ঘ দীর্ঘ কাল , তারা আর সরল কোনওকিছুকে সরল দেখি না, বাঁকা দেখি। নষ্ট রাজনীতি মানুষের শুদ্ধ সবুজ মনকেও নষ্ট করে ছেড়েছে। দেশটি এখন একটি দুর্ভোগের দেশ।"