/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/bangladeshi-director-mostafa-sarwar-farooki-health-update-after-operation-returned-home-2025-08-24-09-48-08.png)
এখন কেমন আছেন পরিচালক?
অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা ফারুকি। তিনি সিনে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক-ও বটে। পদ্মাপাড়ের এই পরিচালক হঠাৎ করেই পেটে-বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। কক্সবাজারে গিয়ে, তিনি শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। তবে, বর্তমানে স্বস্তির খবর জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী তিশা।
তিনি নাকি বাড়ি ফিরেছেন। শনিবার থেকে টানা ৭দিন তিনি হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। এবার বাড়িতে এসেছেন সুস্থ হয়ে। তিশা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সেই খবর। কেমন আছেন এখন মুখ্য উপদেষ্টা? গতকাল অভিনেত্রী একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তাঁর বাড়ি ফেরার। তাঁর ছোট্ট মেয়েটি যে বাবাকে সামনে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। তাঁর হাসি ধরছে না। তিশা লিখছেন, "আলহামদুলিল্লাহ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন। ধন্যবাদ সবাইকে।"
Actress Tragic Life: সিনেমার লিড নায়িকা থেকে যৌনপেশা, অবশেষে এইডসে…
প্রথম আলো সুত্রে খবর, বিকেল পাঁচটা নাগাদ তিনি গতকাল বাড়ি ফিরেছেন। তবে, আগামী ৭দিন তাঁকে যথেষ্ট বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই, আপাতত বাড়িতে থাকতেই হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, ফারুকি নতুন বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা হওয়ার পর তাঁকে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। অনেকে তাঁকে নিয়ে ট্রোল পর্যন্ত করেছেন। এবং তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রথম জানিয়েছিলেন স্ত্রী-অভিনেত্রী তিশা নিজেই।
কী আন্দাজ করেছিলেন চিকিৎসক?
ফারুকী সম্প্রতি চার দিনের সফরে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল ওশান প্যারাডাইসে অবস্থানকালে তিনি হঠাৎ বুকে ও পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১০টার কিছু পরেই তাঁকে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। প্রথমে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন ধারণা করেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ফারুকী অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর পর চিকিৎসকেরা জানান, অতিরিক্ত কাজের চাপই তাঁর অসুস্থতার মূল কারণ।
Screen Awards 2025: বলিউড তারকা ও ইউটিউব ক্রিয়েটরদের মিলনমেলা: ইন্ডি…
রাতেই চিকিৎসকদের একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করে তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরদিন পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত হয় অ্যাপেনডিক্সের অস্ত্রোপচার করতে হবে। সফলভাবে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়।