Tollywood News: ক'জন মা এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? সমাজের সামনে যেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন বাংলার বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। এবং তিনি নিজেই এমন এক গল্প সকলকে শোনালেন শুনলে আপামর শাশুড়ি মায়েরা হয়তো চমকে উঠবেন। প্রসঙ্গে সব্যসাচী চক্রবর্তীর স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তী। সম্প্রতি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোয়ে এসেই নিজের শাশুড়ি হওয়ার গল্প সম্পর্কে জানালেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সে শ্বশুরবাড়িতে নতুন বউ হিসেবে আসেন তিনি। শাশুড়িকে নিয়ে প্রায় ৩০ বছর সংসার করেছেন তিনি। কিন্তু, নিজে ২ ছেলের মা হিসেবে তাঁদের বিয়ের আগেই এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে বাঁকা চোখে দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন মিঠু। মা হিসেবে তিনি সন্তানদের আঁচলে বেঁধে রাখতে চাননি। অভিনেত্রী ছোট থেকেই ছেলেদের জানিয়েছিলেন বিয়ে করার আগে তাঁদের কী করতে হবে। বাড়িতে বউ নিয়ে আসবেন ছেলেরা, কিন্তু অশান্তি শুরু হবে, সেই নিয়েই আগে থেকে নিয়ম বানিয়েছিলেন।
Tollywood Actress: রাস্তায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পরনের পোশাক…
অভিনেত্রী নাকি বলে দিয়েছিলেন ছেলেদের, বিয়ে করতে হলে আলাদা থেকে বিয়ে করবে। একসঙ্গে অশান্তি করে থাকতে চান না। এই প্রসঙ্গেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, "এই অনুভূতিটা খুব অদ্ভুত হয়েছিল। ঘর ভর্তি বাঙালি মায়ের সামনে যখন আমি এই কথাটা বলেছিলাম তাঁরা সবাই বাঁকা নজরে তাকিয়েছিল আমার দিকে। ভাবছিল কী বলছে। কিন্তু ওরা যখন খুব ছোট যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছে, সেদিন থেকেই আমি বলেছিলাম যদি আলাদা থাকার ক্ষমতা রাখো তাহলেই বিয়ে করো।"
তবে কি আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন যে ছেলের বউদের নিয়ে সংসার করতে পারবেন না? কারণ তিনি নিজে তো ৩০ বছর সংসার করেছেন শাশুড়িকে নিয়ে। তাঁর শাশুড়ি নাকি এও বলেছিলেন, তুমি কি আমার সঙ্গে থাকো নি? কিন্তু মিঠু সাফ জানিয়েছিলেন, সেসব যুগ এখন চলে গিয়েছে। তাঁকে আরও বলতে শোনা গেল, "আমি বলেছিলাম উনাকে যে আমি তোমার মত ভাল শাশুড়ি হব এর কোনও গ্যারান্টি নেই। আমার মনে হতেই পারে, দেখো আমার ছেলেটাকে ঠিক করে খেতে দিল না।"
Entertainment News: জনপ্রিয় সুরকারের পুত্র, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না …
ছোট ছোট ফ্ল্যাট। একই বাড়িতে ঝগড়া-অশান্তি হবে এবং সকলে শুনবে এমনটা নিশ্চয়ই হয় না। অভিনেত্রী আরও বললেন ছোট ছোট ফ্ল্যাট। পাশের ঘরে ঝগড়া করলে শুনতে পাওয়া যায়। ওদের একদিন মনে হতেই পারে যে পার্টি করব। হয়তো আমরা বিরক্ত হলাম। রাত ১১-১২টা অবধি আমরা রেগে যেতেই পারি। সেজন্য বুঝেছিলাম আর ওদের বলেছিলাম যেদিন আলাদা থাকতে পারবে সেদিন বিয়ে করো।"
এবং তাঁর দুই ছেলেই যে বাধ্য ছেলের মতো মায়ের সব কথা শুনেছে একথাই সাফ জানান তিনি। যদিও, কিছু সময় আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হন মিঠু। তখন গোটা পরিবার তাঁর খেয়াল রাখতে ব্যাস্ত হয়ে পরে। তবে এখন অনেকটাই ভাল আছেন। এমনকি এও জানিয়েছিলেন দুই নাতি-নাতনিকে নিয়েই সময় কেটে যায় তাঁর।