মঞ্চ ও যাত্রার দৈনিক পারিশ্রমিক প্রাপ্ত শিল্পীদের পাশে সংগঠন

লকডাউনে একেবারেই বন্ধ মাচা ও যাত্রা। ফলে অসুবিধেয় পড়েছেন দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করা বহু মানুষ। এবার তাদের পাশে দাঁড়াল বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার গিল্ড।

লকডাউনে একেবারেই বন্ধ মাচা ও যাত্রা। ফলে অসুবিধেয় পড়েছেন দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করা বহু মানুষ। এবার তাদের পাশে দাঁড়াল বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার গিল্ড।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার গিল্ডের সভাপতি ইন্দ্রাণী হালদার। ফোটো- ফেসবুক

করোনা ভাইরাসের জেরে সারা দেশে লকডাউন। ফলত, কোনও জায়গায় জমায়েত তো দূরের কথা ভীষণ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনও বারণ। এমতবস্থায় বন্ধ মেলা, যে কারণেই নেই মঞ্চ বা মাচা এবং যাত্রা। আর এখন সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় জুন-জুলাই পর্যন্ত চলে এই শোগুলো। কিন্তু এখন একেবারেই বন্ধ মাচা। ফলে অসুবিধেয় পড়েছেন দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করা বহু মানুষ।

Advertisment

এবার তাদের পাশে দাঁড়াল বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার গিল্ড। প্রতিদিনের পারিশ্রমিকে কাজ করেন বহু মানুষ, যাঁরা মাচা বা জলসার নেপথ্যে রয়েছে। লাইটম্যান, সঞ্চালক, ইলেক্ট্রিশিয়ান, স্টেজ যারা করে, সংখ্যাটা প্রায় কয়েক হাজার। লকডাউনের ফলে তাদের উপার্জন শূন্য।

আরও পড়ুন, শাশুড়ি-জামাইয়ের ম্যাজিক্যাল মুহুর্ত, ভাইরাল যিশু-অঞ্জনার লকডাউন ভিডিও

সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রাণী হালদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বললেন, ''জানিনা লকডাউনের পর কতদিন মেলা হবে না। কতদিন বন্ধ থাকবে মাচা, যাত্রা। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যত অনুষ্ঠান হয় মঞ্চের সামনে যত না মানুষ থাকে তার তিনগুণ মানুষ রয়েছেন নেপথ্যে। শুধু মাচা নয়, যাত্রাশিল্পীরা রয়েছেন এর মধ্যে। মার্চে কিছু শো হয়েছে, তারপর থেকে পুরোপুরি বন্ধ। তাদের জন্য তহবিল তৈরি করেছে বিএসপিজি।''

Advertisment

এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই সংগঠন। মুক্ত মঞ্চে কাজ করা প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ রয়েছেন বিএসপিজির ছাতার তলায়। ইন্দ্রাণী হালদারের ছাড়াও এই সংগঠনের সহ-সভাপতি মানালি দে। বাইরে থেকে ডোনেশন ও শিল্পীরা একসঙ্গে মিলে ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। পকেট পকেট করে সাহায্য করা হচ্ছে প্রতিদিনের পারশ্রমিকে কাজ করা মানুষদের। তবে এভাবে কতদিন, প্রশ্ন অভিনেত্রীর।

আরও পড়ুন, করোনার ফলাফল: তিন মাসে রেকর্ড বেড়েছে নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন

ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তালিকা করে শিল্পীদের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ। লকডাউন উঠে গেলেও যে শো শুরু হবে এমন আশা আপাতত নেই বলেই ধারণা ইন্দ্রাণী হালদারের। আপাতত যতদিন পারবেন নিজেরাই চেষ্টা করবেন। পরিস্থিতি একটু সামলে গেলে প্রশাসনের দারস্থ হওয়ার কথা জানালেন সংগঠনের সভাপতি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus Indrani Haldar