/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/qwedqw-2025-08-20-12-59-59.jpg)
অভিনেতা দেবদূতের প্রতিক্রিয়া
saradha Case: সালটা ছিল ২০১৩। কোটি কোটি টাকার সারদা দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় চারদিক। সেই ২০১৩ সালের আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত তিনটি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়। কোটি কোটি টাকার চিটফান্ড সংক্রান্ত তিনটি মামলায় ১২ বছর পর মুক্তি পেলেন দুজনে। তবে তিনটি মামলায় জামিন পেলেও জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না সারদা কর্তা। মঙ্গলবার কলকাতার ব্য়াঙ্কশাল কোর্ট তাঁদের বেকসুর খালাস করলে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাঙালি অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সারদাকাণ্ডে সাধারণ মানুষের আত্মহত্যার মতো সেই মর্মান্তিক ঘটনা উসকে প্রতিবাদের সুর চড়ালেন।
একযুগ পর সারদা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দুজন বেকসুর খালাস, হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরনোর দৃশ্যে রাগে ফুঁসছেন। সাধারণের উদ্দেশে জানতে চেয়েছেন, 'সারদা চিটফান্ড মামলায় কতজন এজেন্ট যেন আত্মহত্যা করেছিলেন? মনে আছে? মূল চক্রী দুজন হাসতে হাসতে কোর্ট থেকে বেরচ্ছে দেখলাম। বেকসুর খালাস!' কমেন্ট বক্সেও সুদীপ-দেবযানীকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য নিন্দার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় অভিনেতা। যে কোনও বিষয়ে অকপটে নিজের মতপোষণ করেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।
তিনি যে বামপন্থী সে কথা আজ আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। দেবদূতের সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যায় একাধিক রাজনৈতিক পোস্ট। তার পাশাপাশি ব্যক্তিগতজীবন-কর্মজীবন নিয়েও অনেক পোস্ট শেয়ার করেন। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন সুদীপ্ত ও দেবযানী দমদম জেলে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারা (অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ), ৪২০ ধারা (প্রতারণা)-এ অভিযুক্ত ছিলেন। তবে তিনটি মামলায় জামিন পেলেও জেলবন্দি থাকবেন সারদা কর্তা।
সারদা কেলেঙ্কারিকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল একসময় রাজ্য রাজনীতি। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড সামনে আসতেই দুজনের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ করেছিলেন আমানতকারীরা। সেই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED-র হাতে। ১২ বছর পর সেই মামলায় দুজনকেই বেকসুর খালাস করল ব্য়াঙ্কশাল কোর্ট।