/indian-express-bangla/media/media_files/MV0ACCPTPcLY2MRTP6q8.jpg)
যন্ত্রণাদায়ক শৈশব!
Kangana Ranaut Mother: ব্যক্তিগতকজীবন বা কর্মজীবন কিম্বা রাজনৈতিকজীবন যাই হোক না কেন, খোলামেলা আলোচনা করেন কঙ্গনা রানাউত। Hauterrfly-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শৈশব ও পারিবারিক জীবনের অজানা অধ্যায় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। কঙ্গনার পরিবারে রয়েছেন তাঁর দিদি রঙ্গোলি ও ছোট ভাই। তবে বড় বোনের আগে কঙ্গনার মা-বাবার জীবনে এসেছিল এক পুত্রসন্তান। নাম ছিল হিরো। কিন্তু জন্মের মাত্র ১০ দিন পরেই মারা যায়! হাসপাতালের অবহেলার কারণেই এই মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সেই ঘটনার পর থেকেই কঙ্গনার বাড়িতে মেয়েদের হাসপাতালের বদলে ঘরেই সন্তান প্রসবের নিয়ম চালু হয়।
বলিউডের ক্যুইন বলেন, 'মায়ের প্রথম সন্তান ছিলেন এক পুত্রসন্তান, কিন্তু তিনি বাঁচেননি। জন্মের ১০ দিনের মাথায় তিনি মারা যান। বাবা তাঁর নাম রেখেছিলেন হিরো। জন্মের সময় ওজন ছিল ৩.৫ কেজি এবং কোনও জটিলতা ছিল না। মা বিশ্বাস করেন, হাসপাতালের কর্মীদের অসাবধানতায় বিশেষত নাভির নাড়ি কাটতে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর পর ঠাকুমা সিদ্ধান্ত নেন আর কেউ হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেবেন না। এরপর মা আরও তিনবার ও আমার খুড়িমা দু'বার সন্তান প্রসব করেন। সবাই একই ঘরে জন্মেছিলাম।'
আরও পড়ুন 'যে মহিলারা ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে তাঁদের চরিত্র...', লিভ-ইন রিলেশন নিয়ে বিস্ফোরক কঙ্গনা
অভিনেত্রী আরও জানান, তাঁর পরিবারের ছিল পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা। তাঁর কথায়, 'এখন বাবা-মা এসব ভাবলে লজ্জা পান। কিন্তু তখন মেয়েদের প্রায়ই ছোট করা হত। বলা হতো, ওকে বাইরে যেতে দিও না। বড় মেয়ের বিয়েতে সমস্যা হবে। এইসব মন্তব্য ভাইবোনের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছিল। আমাকে অনেক সময় একঘরে করে দিয়েছিল।'
কঙ্গনা তাঁর কৈশোরের আরও এক বেদনাদায়ক স্মৃতি শেয়ার করেন। অনেক সহপাঠী যখন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মধ্যে ঋতুমতী হয়েছিল তখনও তাঁর ঋতুস্রাব শুরু হয়নি। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে মা একদিন তাঁর খেলনা, পুতুল, পুতুলের ঘর সব ফেলে দেন। স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'আমি তখন পুতুলবাড়ি নিয়ে খেলতাম। মা রাগ করে বললেন, এখনও ঋতুস্রাব হয়নি আর পুতুল নিয়েই পড়ে আছে। তারপর একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি আর মা খুশি হয়েছিলেন যে অবশেষে আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে।'