আসন্ন ২১ জুলাই। আদৌ যে এদিনকে শহিদ দিবস বলে এই প্রসঙ্গে অনেকেই জানেন না। ২০১১ সালের পর যখন শাসকদল ২১- জুলাই বড় করে সভা করতে শুরু করে, সেদিন থেকেই আরও নজরে আসে এই বিষয়টি। যদিও বা, ১৯৯৩ সালে থেকেই শহিদ দিবস উপলক্ষে সভা হতই। শহিদ দিবস ২১-শে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যায় বহু তারকাদের। বাংলা সিনেমা থেকে টেলিভিশনের অনেকেই সেখানে থাকেন।
বাংলার রাজনীতিতে তারকা সমাগম কম নেই। কেউ যেমন বিধায়ক এবং তেমন কেউ আবার সাংসদ। ২১-শে জুলাইয়ের মঞ্চে অনেককেই দেখা যায়। গান-আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে দিন সারাবছরের কর্মসূচীর নির্দেশ দেন দলনেত্রী। কিন্তু, টলিপাড়ায় এমন অনেকেই আছেন যারা ভীষণ জনপ্রিয়। তাঁদের কি ইচ্ছে হয় রাজনীতির মঞ্চে আসার। কিংবা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল না যদি, এমন কোনও দল হয় যেখানে মুখ্য নেতা ভূতের রাজা তবে? সেই দলে কি নাম লেখাবেন?
Kiara Advani: মা হতেই হাত থেকে ফস্কে গেল বড় কিছু? কিয়ারার লাক ছিনিয়…
এ প্রসঙ্গে টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা, তিনি কি নাম লেখাতে চান ভূতের রাজার দলে? আর যদি দলে নাম লেখান, তাহলে ভূতের রাজার কাছ থেকে কোন তিনটি বর তিনি পেতে চান? তিনি কি শুধু নিজের জন্য বর চান নাকি সমাজের মঙ্গল করে এমনও কিছু বর চান? উত্তরের অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল...
Chiranjeet Chakraborty: ২১-শে জুলাইকে যারা ডিম-ভাত দিবস বলে তাঁরা বিধানসভা-লোকসভায় শূন্য: চিরঞ্জিত চক্রবর্তী
"যদি কোনো দলের মাথায় ভূতের রাজা হন তাহলে তো কথাই নেই। তাই, হ্যাঁ! একেবারেই আমি নাম লেখাতে চাই। কারণ বর পাব তো। আর যদি বলো, তিনটে বর আমি কী কী চাই, তাহলে অবশ্যই যেটা সকলের ভাল করে সেটাই চাইব। বেশ কিছু বিষয় আছে, যেটা পাল্টে ফেলার দরকার আছে।" যারা সত্যজিৎ রায়ের সেই ছবি দেখেছেন তারা জানেন তিনি গুপিবাঘাকে তিনটে বর দিয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে একটি যা খুশি খাওয়া পড়া, আরেকটি হল যেখানে খুশি যখন খুশি চলে যাওয়া এবং তিন হল, গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়া। কিন্তু, সায়ক বললেন...
"যেটা করতে হবে, যত ক্রাইম আছে, এই যে চুরি, ধর্ষণ - একটাও যেন ক্রাইম না হয়। মানুষের মধ্যে যেন ক্রাইম না থাকে। সব যেন সুস্থ থাকে। ২. আরেকটা হচ্ছে, সারা পৃথিবীর সবাই যেন এক হয়ে যায়। মানে ইকুয়াল হয়ে যায়। কেউ যেন গরীব বড়লোক ভেদাভেদ না থাকে। আর ৩ নম্বর হচ্ছে, মানুষের মধ্যে থেকে যেন বর্ণবাদ বিষয়টা ঘুচে যায়। গায়ের রং কিংবা হিন্দু মুসলিম নিয়ে বিচার করা, এই বিষয়গুলো যেন মানুষ ভুলে যায়।" কিন্তু তাঁর কি রাজনীতিতে নাম লেখানোর ইচ্ছে আছে? তাঁকে কি কোনোদিন দেখা যেতে পারে কোনও দলীয় রং গায়ে মাখতে? তিনি সাফ জানালেন...
"না! আমার কোনও আগ্রহ নেই। ভোট দিতে হবে, কারণ নাগরিক হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। আর তাঁর থেকেও বড় কথা, আমি না রাজনীতি জানি না। তাই, যেটা জানি না, সেটায় না জড়ানোই ভাল।"