/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/31/sayak-2025-08-31-17-46-33.jpeg)
সায়কের পুজো প্ল্যান
Sayak Chakraborty Durga Puja Plan: একটা সময় দীর্ঘদিন কোনও কাজের প্রস্তাব আসেনি। খানিকটা অবসাদেই দিন কেটেছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ততদিনে বেশ জনপ্রিয়। লাইভ-ভ্লগের মাধ্যমে নিজের একটা পরিচিতি তৈরি করেছিলেন। লম্বা বিরতি কাটিয়ে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে 'চিরসখা'-য় গ্র্যান্ড কামব্যাক। এরপর 'তুই আমার হিরো', 'রাণী ভবানী'-র মতো ডেইলি সোপে কাজের সুযোগ। কেরিয়ারের গ্রাফ যখন ঊর্ধমুখী তখন মা ও পরিবারের জন্য বাইপাসের ধারে কিনে ফেললেন নিজের জমি। যেখানে তৈরি হবে স্বপ্নের বাড়ি। তিনি নান আদার দ্যান আজকের পপুলার ইউটিউবার সায়ক চক্রবর্তী।
আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরই আম বাঙালি মাতবে শারোদৎসবের আনন্দে। গত বছর পুজোয় 'বেকার' ছিলেন সায়ক তবে এবছর ভাগ্যবদল। দরজায় কড়া নাড়ছে একের পর এক সাফল্য। তাই পুজোটাও প্রতিবারের তুলনায় এবারে একটু আলাদা হবে সে কথা বলাইবাহুল্য। পুজোর চারদিন কেমন সাজবেন, কোথায় যাবেন, কী করবেন আজকের 'সফল' নায়ক সায়ক চক্রবর্তী? খোঁজ নিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
আরও পড়ুন জামাইষষ্ঠীর পরই সিঙ্গল টু মিঙ্গল, চুপিসারে কার সঙ্গে ঘর বাঁধলেন সায়ক? দেখুন ছবি
সায়ক বলেন, 'এবারের পুজো সত্যিই আলাদা। প্রথম কারণ, আমরা একটা আবাসনে জমি কিনেছি। ওখানেই আবার মাসির বাড়ি। অনেকদিন ধরেই ওই আবাসনে পুজো হয়। আর ছোট থেকে প্রতি নবমীতে মাসি আমাদের নিমন্ত্রণ করত। কারণ সেদিন ওদের ওখানে মটন খাওয়ানো হয়। আমরা যাতে একটাদিন ভাল করে খাওয়াদাওয়া করতে পারি সেই জন্য ডাকত। এবার আমরা নিজেদের জমির অধিকার সূত্রে সেই মটন খাব। দ্বিতীয়ত এবছর স্টুডিওপাড়ায় আমার নিয়মিত আনাগোনা। গত বছর আমার হাতে কোনও কাজ ছিল না আর এবার পুজোয় সকলকে বলতে পারছি আমার চারদিন ছুটি।'
পুজোর এই চারটে দিন কী ভাবে কাটাবেন সায়ক? প্রতিবারের মতো এবারেও একটা দিন মা, দাদাইকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাবেন। কারণ উত্তর থেকে দক্ষিণ সব ঠাকুর দেখা চাই-ই চাই। সায়কের সংযোজন, 'আগে দাদাইয়ের অফিসের পাস-এ দেখতাম এখন মুখ দেখেই জায়গা ছেড়ে দেয়। এটা আমি বেশ এনজয় করি। সবাই লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখেন সেটা সত্যিই একটু কষ্টসাধ্য। কিন্তু, যখন আমি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাই তখন মনে হয় কষ্ট করে নিজের জায়গাটা তাহলে কিছুটা হলেও তৈরি করতে পেরেছি।'
আরও পড়ুন 'আমার সঙ্গে রাজার চরিত্রের কোনও মিল নেই', 'রাণী ভবানী'-র রাজপাটে কোন ভূমিকায় সায়ক?
সায়কের কাছে পুজো মানেই পরিবারের সঙ্গে জমিয়ে আনন্দ করার দিন। তবে এবারে সায়কের বউদি অর্থাৎ টেলি অভিনেত্রী সুস্মিতার ডিভোর্স হয়েছে। সেই ঘটনা পুজোর আনন্দকে কোনওভাবে ফিকে করে দেবে? সায়কের স্পষ্ট জবাব, 'আমার মায়ের মনটা একটু খারাপ। তবে আমরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্যই করে।' পুজোর সাজ নিয়ে খুঁতখুঁতে? অকপটে স্বীকার করেন, 'হ্যাঁ'। সায়কের কথায়, 'শেষ মুহূর্তের শপিং আমার বাকি থেকেই যায়। কিছু না কিছু একটা ম্যাচিং নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। সেটার জন্য আবার আমাকে দোকানে ছুটতে হয়। ষষ্ঠী, অষ্টমী আর দশমীতে একদম ট্রাডিশনাল। অষ্টমীর সকালে মায়ের কাছে অঞ্জলি মাস্ট। বাকি দিনগুলো ফ্যাশনেবল পোশাক পরি।'