Dipanwita Rakshit Debut Web Series: একটা সময় অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা মেগার তালিকায় ছিল খুকুমণি হোম ডেলিভারি। যে ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দীপান্বিতা রক্ষিত। ঘড়ির কাঁটার নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বাঙালির ড্রইং রুমে পৌঁছে যেতেন অভিনেত্রী, সেই সুবাদে হয়ে উঠেছিলেন বাংলা মেগার দর্শকের ঘরের মেয়ে। কিন্তু, এরপর ছোট পর্দা থেকে একেবারে গায়েব। সিরিয়ালে ফের দীপান্বিতা রক্ষিতকে দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছিল দর্শক, ঠিক সেই সময় ভক্তদের সারপ্রাইজ দিলেন ছোট পর্দার 'খুকুমণি'। তবে এবার আর মেগায় নয়, তাঁকে দেখা যাবে ওটিটির পর্দায়।
পাহাড়ের কোলে রহস্য-রোমা গা ছমছমে এক থ্রিলার শ্রেষ্ঠার চরিত্রে ফিরছেন দীপান্বিতা। সফর সঙ্গী অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। পরতে পরতে রোমহর্ষক দুর্ধর্ষ ঘটনাবলীতে ভরপুর এই থ্রিলার সিরিজের নাম নতুন সিরিজর নাম 'প্রফেসর সেনগুপ্ত', মুক্তি পাবে জুলাইয়ে। নাম ভূমিকায় রয়েছেন জয় সেনগুপ্ত।
পরিচালক রাজদীপ ঘোষের গল্পের বুনোটটা ঠিক কেমন? ডক্টর অনির্বাণ সেনগুপ্ত একজন সাইকোলজি প্রফেসর (জয় সেনগুপ্ত)। পাহাড়ের কোলে এক ছিমছাম বাড়িতে একাই থাকেন। মাঝে মধ্যে ছোট মেয়ে তিন্নি আসে তার অনি আঙ্কেলের বাড়ি। তিন্নিকে ভীষণ ভালোবাসে অনির্বাণ। পুতুল বানিয়ে দেয়, চকলেট দেয়, ওদের শান্ত নিস্তরঙ্গ জীবনে আগন্তুক অফিসার ইন চার্জ রজত। কারণ জঙ্গলের রাস্তায় একটা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। খালি চোখে দেখলে মনে হচ্ছে নিছক দুর্ঘটনা, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। তদন্ত করতেই অনির্বাণের বাড়িতে আসে রজত। যে ছেলেটি খুন হয়েছে সেই ছেলেটি অনির্বাণের অত্যন্ত পরিচিত এবং প্রাক্তন ছাত্রও বটে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/45c248c9-24c.jpg)
তদন্ত করতে করতেই রজত অনির্বাণ এর কাছে তিন্নির কথা জানতে পারে। তিন্নির বাড়িতে গিয়ে রজত চমকে ওঠে। কারণ তিন্নি নাকি অনি আঙ্কেলের রেফ্রিজারেটরে একটা কাটা কান দেখতে পেয়েছে। তিন্নিকে একটা পুতুল বানিয়ে দেবে বলে অনির্বাণ সিলিকনের তৈরি হিউম্যান বডি পার্টস কিনে এনেছে। রজতের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। রজত পুতুল টা দেখতে চায়। তিন্নি পুতুলটা রজতের কাছে আনতেই রজত পুতুলের একটা কান ছিঁড়ে সেটা ফরেন্সিকে পাঠায়। কারণ তার কিছুদিন আগে পুলিশ একটি মেয়ের মরদেহ জলাশয় এর কাছে পায় যার কান, ঠোঁট এবং হাতের আঙুল নিপুন ভাবে কাটা ছিল।
আরও পড়ুন একসঙ্গে একাধিক সিনেমা মুক্তি পেলে আমার ছবির দর্শক কম হতেই পারে: ঋত্বিক চক্রবর্তী
রজত এসিপির কাছে বলে সে অনির্বাণের বাড়ি সার্চ করতে চায়। কারণ সে নিশ্চিত অনির্বাণ কিছু লুকোচ্ছে। না হলে কেউ হিউম্যান বডি পার্টস দিয়ে বাচ্চার জন্য পুতুল কেন বানাবে? কার বিকৃত মনবৃত্তির যৌন ফ্যান্টাসী, কার প্রতি ভালবাসা আর দুর্বৃত্তের ভারসাম্যহীন অনুসরণ করা লালসা, বাল্য কালের অপরাধ প্রবণতা- এরকম নৃশংস ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতেই এগবে গল্প। রজত সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে পৌঁছে যায় অনির্বাণ এর বাড়ি। রহস্যময় এই বাড়িতে কি লুকোনো আছে? প্রফেসর অনির্বাণ কি সত্যিই এই খুনের ব্যাপারে কিছু জানে? হাড়হীম করা ঘটনাচক্রের নেপথ্য কাহিনীই প্রফেসর সেনগুপ্ত।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/6414f492-d0c.jpg)
প্রথমবার ওয়েব সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেন, 'প্রথম ওয়েব সিরিজ। তাই একটু উত্তেজিত ছিলাম। লাটাগুরিতে শুটিং হয়েছে। সকলের সঙ্গে মিলমিশে খুব আনন্দ করে কাজটা করেছি। অনেক ভাল মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। নতুন বন্ধু হয়েছে।' বর্তমান প্রজন্ম সিরিজের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট। ওটিটি না ছোট পর্দা, কোন মাধ্যম বেশি জনপ্রিয়? অভিনেত্রী বলেন, 'দুটো সম্পূর্ণ আলাদা মাধ্যম। টেলিভিশন ছোট থেকে বড় সকলে দেখেন। এটি গ্রাম্য মাধ্যমও বটে। টেলিভিশনের মাধ্যমে একটু বয়স্ক মানুষদের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। আর ওটিটি টার্গেট করে বর্তমান প্রজন্মকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পুরনো মাধ্যমকে পছন্দ করি। কারণ ওঁরা সম্পূর্ণ আবেগ দিয়ে ভালবাসে। একইসঙ্গে এই প্রজন্মের কাছেও পৌঁছতে হবে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/4a57ae04-5c2.jpg)
ছোট পর্দায় কাজের সুযোগ এলে ফিরবেন? দীপান্বিতা বলেন, 'হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। যে কোনও মাধ্যমে আমি কাজ করতে ভালবাসি। আমার ঘরে বসে থাকতে একদম ভাল লাগে না। কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসি। ধারাবাহিকের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ বলে হয়ত এটা আমার অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। মেগার মাধ্যমে আমি পরিচিত পেয়েছি, তাই ধারাবাহিকে কাজের সুযোগ সবসময় গ্রহণ করব।'
আরও পড়ুন বলিউডে 'বং কানেকশন', সোনাক্ষীর নতুন ছবির পোস্টারে কী ভাবে নজর কাড়লেন ব্যারাকপুরের মেয়ে একতা?